লিলুয়ার পর এবার হাওড়ার ব্যাঁটরা। বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ব্যাঁটরা থানা এলাকায়। এদিন বৃন্দাবন মল্লিক লেনের একটি হিট চেম্বারের কোয়েঞ্চিং অয়েল টেম্পার কারখানায় সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ আগুন লাগে। খবর পেয়ে দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে, দমকলের তৎপরতায় আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়েনি। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এরকম ঘিঞ্জি এলাকায় এই ধরনের কারখানা চলতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা অসিত মান্না বলেন, অনেকদিন ধরেই আমরা এখানে এই ধরনের হিট চেম্বারের কারখানা চালাতে বারণ করেছি। বাড়ি গরম হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মালিক কিছু করেনি। আমরা পিটিশন গিয়েছিলাম। বাড়িওয়ালা বাড়ি থেকে তুলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এখানে লোহার জিনিসপত্র টেম্পার করা হয়। লোহার জিনিসপত্র জলে ফেললে বাড়ি ঘরদোর কেঁপে ওঠে। এই ব্যাপারটা বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়েছিল। এতদিন একটা চিমনি ছিল। এখন তিনটে চিমনি হয়েছে।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত পাল বলেন, এখানে ঘিঞ্জি এলাকা থাকা সত্ত্বেও কারখানা তৈরি করেছে। এ ব্যাপারে বলা হলেও কোনও কর্ণপাত তারা করেনি। উল্টে বাড়ির মালিক আমাদের তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এখানে কোনও অবস্থাতেই কারখানা তৈরি করা যায়না। একটু এদিক সেদিক হলে এখানে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। হাওড়া দমকলের পক্ষ থেকে ওসি সোমনাথ প্রামাণিক বলেন, কি করে আগুন লেগেছে তা জানা নেই। এখানে টেম্পারিং এর কাজ হতো। কোনও কারণে হয়তো আগুন লেগে গিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর খবর দেওয়া হয় দমকলকে। খবর পেয়ে হাওড়া দমকল অফিস থেকে দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। এখানকার রাস্তা খুব ঘিঞ্জি। দমকল তৎপরতার ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এখানে দমকলের পক্ষ থেকে কারখানা করার জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স এর অনুমতি তারা পেয়েছে। এই জায়গায় দমকলের পক্ষ থেকে কারখানা তৈরির অনুমতি দেওয়া হবেনা। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।