মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্ণগড় এলাকায় একটি ব্রিজের নিচে মিঠুন খামরই নামে ৩৫ বছর বয়সী এক বিজেপি কর্মীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত মিঠুন খামরই এর বাড়ি কর্নগড় এলাকায়। সে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিল বলে দাবি বিজেপির।
সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মেলা দেখতে গিয়েছিল। এরপর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। মঙ্গলবার সকালে তাকে কর্নগড় ও মোহনপুরের মাঝে থাকা ব্রিজের নিচে পারাং খালের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। যার ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তি প্রতিদিন মদ খেতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শালবনি থানার পুলিশ ।
ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ মৃতদেহ টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে। বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন তাদের কর্মী মিঠুন খামরই কে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে ।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন এলাকাকে অশান্ত করে তোলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলের ওই কর্মী কে সুপরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন যে কোন মৃত্যুর ঘটনা দুঃখের।
সোমবার বিজেপির এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে লোক হয়নি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রচারে থাকতে চাইছে বিজেপি। কি কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত এর রিপোর্ট আসার পর তা জানা যাবে। তবে ওই ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেস কোনোভাবেই জড়িত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে , কি কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।