সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যের সমস্ত থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিজেপি মহিলা মোর্চা। হাওড়াতেও বিভিন্ন থানার সামনে চলে বিক্ষোভ। গোলাবাড়ি, ব্যাঁটরা, দাসনগর সহ অন্যান্য থানার সামনে এই কর্মসূচি চলে।
গোলাবাড়িতে মিছিল করে এসে থানার সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান মহিলা মোর্চার কর্মীরা। পথ অবরোধ হয়। বিজেপি মহিলা মোর্চার হাওড়া জেলা সদরের সভানেত্রী পৌলমী আদক বলেন, এদিন যত থানা আছে মহিলা মোর্চার ডাকে সকল থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
পশ্চিমবাংলার বুকে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে একটা নাটক চলছে। সেই নাটকের উপস্থাপনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতেই পারেননি সন্দেশখালির তৃণমূলের শিকার মহিলারা রাস্তায় নেমে এসেছে। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের এই আচরণের বিরুদ্ধেই এই ধিক্কার জানিয়ে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি চলছে।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী ধর্ষণ, হত্যার মতো অসামজিক ঘটনা ঘটছে। আর তা প্রকাশ্যে এনেছে সন্দেশখালি। কিভাবে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় তা আগামী দিনে পথ দেখাবে সন্দেশখালি। প্রায় ১ মাস ধরে এই সন্দেশখালিতে যে ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে তার প্রতিবাদে সেখানকার মহিলারা পথে নেমেছে। শেখ শাহজাহান যতদিন না পালিয়ে গিয়েছে ততদিন তার অত্যাচার, কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। এই ধরনের অনেক শেখ শেখ শাহজাহান বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। সেই কারণে এগারো বছর ধরে এদের বাড়বাড়ন্ত। সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য এদিন প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আশা করি সন্দেশখালি আগামী দিনে পথ দেখাবে। যতদিন না দোষীরা শাস্তি পাবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।
যারা প্রতিবাদ করে এই সরকার তাদের নামে মামলা করে, মুখ বন্ধ করে দেয়। এমনকি ওখানে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওখানকার মহিলারা তাদের অত্যাচারের কথা কাউকে বলতে চেয়েছে। কিন্তু এই সরকার তাদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। সেই কারণে সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, সেখানকার ঘটনা সামনে আসতে দিচ্ছে না। এমনকি মিডিয়াদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। মানুষ প্রতিবাদ করেছিল বলে পরিবর্তন এসেছিল। এই সন্দেশখালি আগামী দিনের পথ দেখাবে। এবং বাংলার পরিবর্তন আনবে।