নীলম রায়। রামনগর। পূর্ব মেদিনীপুর।
আমি উৎসবে নেই, পূজা কমিটির সম্পাদক আছি ;
আমি উৎসবে নেই, পুজোর কেনাকাটায় আছি ।
আমি উৎসবে নেই, দীঘা-পুরীর সমুদ্র-সৈকতে আছি।
আমি উৎসবে নেই, পুজোর ভ্রমণে আছি ।
আমি উৎসবে নেই, বিবাহ-অন্নপ্রাশনে আছি ;
আমি উৎসবে নেই, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মাংস-ভাতে আছি।
আমি উৎসবে নেই, জন্মদিন,বিবাহ-বার্ষিকীতে আছি ;
আমি উৎসবে নেই, মেকি অশৌচ পালনে আছি ।
আমি উৎসবে নেই, কবজি ডুবিয়ে মটন-কষায় আছি ;
আমি উৎসবে নেই, খিচুড়ির সাথে ইলিশ-ভাজায় আছি।
আমি উৎসবে নেই, সিগারেট-গেলাস পার্টিতে আছি ;
আমি উৎসবে নেই, পুজোর বোনাস গ্রহণে আছি ।
আমি উৎসবে নেই, সিনেমা রিলিজে আছি ;
আমি উৎসবে নেই, টিভি সিরিয়ালে মজে আছি ।
আপনি কি একমাস দাড়ি কামান নি ? একমাস চুল কাটেন নি? এক মাস হবিষান্ন খেয়ে আছেন! এই একমাস কি আপনি নিজের ঘরে খড় বিছিয়ে পাখা বন্ধ রেখে শুয়েছেন ? গাড়ি চড়েন নি ? ছেলেমেয়েদের নিয়ে পার্কে যাননি? স্ত্রী-কে নিয়ে বেড়াতে যান নি? মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখেননি? সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে দেখেননি? মদ্যপান, সিগারেট বা ধূমপান করে রিলাক্স ফিল করেন নি? নাকি এবার কাউকে পুজোতে জামা কাপড় কিনে দেবেন না, কোথাও ঘুরতে যাবেন না, ঠাকুর দেখতে বেরোবেন না, ফুচকা আইসক্রিম বিরিয়ানি খাবেন না?
রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলা মানে বাংলার অর্থনীতিকে ফেরানোর কথা বলেছেন কারণ দুর্গোৎসব যদি না হয় তাহলে যে লোকটা প্যান্ডেল তৈরি করছে যে লোকটা মূর্তি বানাচ্ছে যে লোকটা লাইটিংয়ের কাজ করছে যে লোকটা আর্টের কাজ করছে যে লোকটা সম্পূর্ণ মন্ডপ সজ্জা করছে যে লোকটা ফুল বিক্রি করছে বা যারা জামাকাপড় বিক্রি করছে উৎসবে ফেরা মানে তাদের ঘরে অন্ধকারে আলো জ্বলে ওঠা তার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় ফেরা , তাদের পেটে দুবেলা ভাত জোগানো বা তাদের মুখে হাসি ফোটানোর দায়বদ্ধতা আমাদের সকলের!
অন্ধকার ঠেলে সত্যের সন্ধানে আলোকিত পথে ফিরতে আমরা সবাই চাই! আমাদের বোন তিলোত্তমার ন্যায় বিচার চাই আর সাথে চাই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি! চাই ফাঁসি!
তবে কোন মায়ের কোল খালি করে আন্দোলন সমর্থন নয়!
চিকিৎসা পরিষেবা দ্রুত সম্ভব সঠিক পথে চালিত হোক! একজন প্রকৃত সৎ চিকিৎসক হিসেবে তিলোত্তমার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক! তাঁর আত্মার শান্তি কামনা হোক তার দেখানো পথেই!
আরে উৎসব মানে কি শুধুই দুর্গাপূজা নাকি?এই তো বুড়ো রান্না বিশ্বকর্মা পুজা থেকে শুভসূচনা সেই কার্তিক পুজা পর্যন্ত চলবে শুধু মা দুর্গার আগমন নিয়েই কেন এতো আপত্তি?
মাও মাকুরা প্রমান করতে চাইছো ধর্ম মানি না আর ফেকুরা প্রমান করতে চাইছো বাংলায় দুর্গাপূজা হয় না,
সে গুড়ে বালি বাংলা ও বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপূজাও হবে সব উৎসব পালন হবে,
অন্যদিকে আমাদের সবার দাবি সিবিআই দ্রুততার সাথে তদন্ত শেষ করে ধর্ষকদের খুনিদের ফাঁসি দিতে হবে।
#নোট : আপনাদের মতো কয়েকটা আঁতেল, উৎসবে না থাকলে, আমাদের কিছু এসে যায় না।