সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই ব্যথা হতে পারে হাঁটুর আঘাতের কারণে অথবা আর্থ্রাইটিসের কারণে। অনেক লোক মনে করেন যে হাঁটুর তেল নিঃশেষিত হয়ে গেছে, তাই ব্যথা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইউরিক অ্যাসিডের বাড়াবাড়ি ও হাঁটুর ব্যথার এক বড় কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ব্যথা এত বেশি হয় যে তা সহ্য করা সম্ভব হয় না।
হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত এক্সারসাইজ করা যেতে পারে, যা হাঁটুর শক্তি বাড়ায় এবং ব্যথা কমায়।
যদি হাঁটু সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে চলাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং হাঁটুকে মোড়ানো বা সোজা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। হাঁটুর ওপর লালচে ভাব ও ফোলা দেখা যায় এবং হাঁটু মোড়ানোর সময় কিছু সময় পেরেক ফাটার মতো আওয়াজ হয়। এমনকি ব্যথিত পায়ে গরম ভাব অনুভূত হয়। আজ আমরা আপনাদের জন্য একটি সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে এসেছি যা হাঁটুর ব্যথা কমিয়ে দেয় এবং ব্যথাকে জড় থেকে নির্মূল করতে সহায়তা করে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
এক চা চামচ হলুদ
এক চা চামচ মধু
এক চিমটি চুন
প্রস্তুতির পদ্ধতি ও ব্যবহার:
প্রথমে, হলুদ, মধু, এবং চুন একসাথে মিশিয়ে নিন। সামান্য পানি যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। প্রয়োজনে আরো বেশি পেস্ট তৈরি করতে পারেন।
এই পেস্টটি আপনার হাঁটুর ওপর লাগান এবং ১০ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এটি রাতে ঘুমানোর আগে করতে হবে।
ম্যাসাজ করার পর, হাঁটুর ওপর একটি সুতির কাপড় বা ব্যান্ডেজ লাগিয়ে ঘুমাতে যান।
পরদিন সকালে গরম পানিতে হাঁটু ধোয়ার পর, আপনার ব্যথা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
এই প্রক্রিয়াটি সাত দিন ধরে অব্যাহত রাখুন।
মনে রাখার বিষয়গুলি:
চর্বিযুক্ত ও প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
আলু, শিমলা মরিচ, সবুজ মরিচ, লাল মরিচ, বেশি লবণ, ও বেগুন এড়িয়ে চলুন।
হাঁটুর ওপর গরম ও বরফের প্যাড দিয়ে সেঁক দিন।
হাঁটুর নিচে একটি বালিশ রাখুন।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং অতিরিক্ত স্থির অবস্থায় থাকবেন না।
ব্যথা বাড়ানোর মতো কাজ এড়িয়ে চলুন।
সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি আখরোট খান এবং পালংশাকসহ ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান। সূর্যের আলোতে কিছু সময় কাটান।
এই পদ্ধতিগুলি মেনে চললে এবং উপরের উপায়টি ব্যবহার করলে আপনার হাঁটুর ব্যথা জড় থেকে নির্মূল হয়ে যাবে।