সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর বড্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন সিকন্দর যাদব। বছর পঁয়তাল্লিশের সিকন্দর নাকি বড্ড মনমরা থাকতেন। তাই বলে শেষে শাশুড়ির সঙ্গে প্রেম?
ব্যাপারটা অনেকদিন ধরেই আঁচ করছিলেন গ্রামবাসীরা।
শেষে মাখোমাখো প্রেম হাতেনাতে ধরে ফেলেন শ্বশুর। নিজের স্ত্রীকে জামাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে যান তিনি। দু'জনকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে নিয়ে যান। তারপর শুরু হয় অশান্তি-কেচ্ছা। শেষে পঞ্চায়েতের নির্দেশেই জামাই-শাশুড়িকে ছাদনাতলায় পাঠান গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি বিহারের হীরামতী গ্রামের। গ্রামেররই একজন হর্তাকর্তা দিলেশ্বর দ্রাভে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন সিকন্দর যাদবের সঙ্গে। মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও জামাইয়ের আসা যাওয়া লেগেই ছিল বাড়িতে। দিলেশ্বর জানিয়েছেন যখন তখন ধূমকেতুর মতো এসে হানা দিতেন জামাই সিকন্দর। দিনের পর দিন থেকে যেতেন শ্বশুরবাড়িতে। তাতে অবশ্য প্রথমে কিছু মনে হয়নি বৃদ্ধ দিলেশ্বরের। সন্দেহটা তৈরি হয় পরে।
একদিন তিনি কিছু কাজে গ্রামের বাইরে গিয়েছিলেন। যথাসময়েই হাজির হন সিকন্দর। বাড়িতে তখন তাঁর শাশুড়ি গীতা একা। কিছু সময় পরে ফিরে এসে দিলেশ্বরের তো চক্ষু চড়কগাছ। শাশুড়ির সঙ্গে জামাইকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেই তিনি সবটা বুঝতে পারেন। তারপরেই ছুটে যান পঞ্চায়েতের কাছে। বিষয়টা জানান গ্রামবাসীদের।
এমন ঘটনা শুনে গ্রামের লোকজন তড়িঘড়ি বিচারসভা বসায়। সেখানে সিকন্দর স্বীকার করেন যে স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর ৫৫ বছরের শাশুড়ি গীতাকেই মনে ধরেছে তাঁর। প্রেম গড়িয়েছে অনেকদূর। জামাইয়ের কথা শুনে মাথা ঘুরে যায় দিলেশ্বরের। স্ত্রীকে চাপ দিতে তিনিও এই অবৈধ প্রেমের কথা মেনে নেন।
তারপরেই শাশুড়ির সঙ্গে জামাইকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েতের নির্দেশেই শাশুড়িকে সিঁদুর পরান সিকন্দর। তারপর তাঁদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজের ব্যবস্থাও হয়েছে বলে জানা গেছে।