সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
বাংলায় নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের আসা জাগিয়ে নিজেদের উৎপাদন শুরু করল মোটোভোল্ট মবিলিটি।
মোটোভোল্ট এম৭। Motovolt Mobility Pvt Ltd বাজারে আনল Motovolt M7। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই মোটোভোল্ট এম৭ এর শুভ সূচনা করেছেন। ই-বাইকের দুনিয়ায় একেবারে প্রথম সারির নাম এই মোটোভোল্ট।
কলকাতার মোটোভোল্ট তারাতলার কারখানায় বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরি শুরু করেছে। তাদের দাবি, এ রাজ্যে তারাই প্রথম সংস্থা যারা এমন দু’চাকা তৈরি করছে।
কোম্পানির তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রথম উচ্চ গতির এমন বৈদ্যুতিক স্কুটার বিভাগে এই মাল্টি ইউটিলিটি ই স্কুটার কোম্পানির জয়যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিরাপত্তা, গুণমান, আরাম, স্থায়ীত্বের ক্ষেত্রে একটি নতুন নান নির্ধারন করছে এই ই স্কুটার। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সেকথা। অনুষ্ঠানে পরিবহণ বিভাগের সচিব সৌমিত্র মোহন, মিসেস বারবারা ভস, জার্মানির কনসাল জেনারেল, অভিনেতা আবীর চ্যাটার্জি ও মোটোভোল্ট মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা তুষার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
বহনের সুবিধা সহ নানা ক্ষেত্রে এই ই স্কুটার অনন্য। ১৮০ কেজি পর্যন্ত ভার বইতে পারবে এই স্কুটার। বসাও বেশ আরামদায়ক।
এখানে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা 3kWh ইউনিট, এলএফপি সেল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ১০০০টিরও বেশি চার্জ দেওয়ার মতো এটি টেঁকসই। এই ব্যাটারি যেকোনও জায়গায় চার্জ দেওয়া যাবে। দাবি কোম্পানির। IDC মোডে ১৬৬ কিমি যেতে পারে এই ই স্কুটার।
ব্যাটারি বদল প্রযুক্তিতে মোটোভোল্টের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির যোগ রয়েছে। এবার সবার প্রশ্ন এই এম ৭ ই স্কুটারের প্রারম্ভিক অফার মূল্য হল ১,২২,০০০ টাকা। প্রথমদিকে বুকিংয়ের জন্য মাত্র ৯৯৯ টাকা দিলেই হবে।
জানিয়েছেন কোম্পানি সিইও তুষার চৌধুরী। ৬টি আকর্ষণীয় রঙে থাকছে এই ই স্কুটার। লাইটনিং গ্রে, গ্যালাক্সি রেড, ব্লু জে, ডোভ হোয়াইট, ক্যানারি ইয়েলো, পুমা ব্ল্যাক। আপাতত বাংলা আর ওড়িশায় এই ই স্কুটার আসছে। পরে অন্য় শহরেও আসবে এই ই-স্কুটার। www.motovolt.co - এর মাধ্যমে বুকিং করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানেই পরিবহণ মন্ত্রী বৈদ্যুতিক-সহ বিকল্প জ্বালানির গাড়ির ব্যবহারে জোর দেন। তবে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, রাজ্যের অনেক জায়গায় অনুমোদন ছাড়াই এমন গাড়ি তৈরি হচ্ছে। যা যাত্রীদের জন্য সুরক্ষিত নয়। পুলিশকে তা বন্ধ করতে বলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কী কী সুরক্ষা বিধি ও মাপকাঠি মেনে চলতে হবে, তা ঠিক করে এআরএআই এবং আইক্যাট-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। সংস্থাগুলিকে তাদের নিয়ম মেনে গাড়ি তৈরি করে স্বীকৃতি নিতে হয়।