অভাব পেরিয়ে সোনার দৌড়ে সাইমার এখন প্রশংসা আর প্রশংসা। রানাঘাট শুধু নয় নদিয়ার গর্ব সাইমা। সোমা বিশ্বাস, জ্যতিময়ী শিকদার এর মতন দেশের হয়ে সোনার পদক পেয়ে দেশের নাম করতে চাই ক্ষুধে সাইমা। বর্তমানে সে রানাঘাট ব্রজবালা প্রাইমারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা সামান্য টোটো চালক মা গৃহবধূ এই অল্প বয়েসে তার প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটেছে।
রাজ্যের 29 তম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বহরমপুর স্টেডিয়ামে সেখানে 200 মিটার দৌড়ে ৩২.৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছে সাইমা দফাদার। সার্টিফিকেট ও পদক যেমন পেয়েছে পাশাপাশি রাজ্য স্তরে এই প্রথম রানাঘাটের ক্ষুদে প্রতিযোগী প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে। আর তাই নদিয়া জেলার রানাঘাট শহর গর্বিত সাইমার জন্য আজ তার স্কুল ব্রজবালা প্রাইমারি স্কুল তাকে সম্বর্ধনা দিলো।
উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট পৌরসভার পৌরপতি কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌড়পদ সরকার , নবীন মালাকার, ব্রজবালা প্রাইমারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক রাজীব বসু, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা , শিক্ষিকা, কাউন্সিলর মিতালী মজুমদার সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ সহ বিশিষ্ট জন। এমন ভাবে স্টেজে তার স্কুলে এই ভাবে তাকে সম্বর্ধনা দেবে এতে তার বাবা, মা যেমন খুশি খুশি সাইমা সে বলে আমি বড় হয়ে দেশের হয়ে দৌড়ে পদক আনতে চাই । আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি রানাঘাট ব্রজবালা প্রাইমারি স্কুলে।
মেয়ের সাফল্য খুব খুশি মা সুপ্রিয়া দফাদার তিনি বলেন ছোট বেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দৌড়তাম কিন্তূ বিয়ে হয়ে যাওয়া সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। মেয়ে আমার থেকেও ভালো দৌড়াচ্ছে আমি ওকে বড় অ্যাথলেটিকস হতে পারে সেই চেষ্টা করে যাবো যতো কষ্ট হোক।
বাবা সব্বিরউদ্দিন দফাদার বলেন ছোট থেকেই উৎসাহ দেখে এবং বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ে ভাল করছে। আমি চাই ও আরও ভালো হোক নাম হোক। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এমন ক্ষুদে অ্যাথলেটিকস তার প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয় তার মতন এমন প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয় সেই দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন রানাঘাট পৌরসভার পৌরপতি কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি ক্ষুদে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন সাইমা দফাদের মতন তারাও যেন চেষ্টা করে। ছোট থেকে অনেকে বুঝতে পরে না বা অনেক প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায় তেমন সাহায্য বা সাহায্য না পাওয়াতে।
রানাঘাট ব্রজবালা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীব বসু বলেন সাইমার সাফল্যে শুধু আমাদের স্কুল নয় সারা রানাঘাট সহ নদিয়া জেলা গর্বিত। আমরা সব সময় ওর পাশে আছি। বর্তমানে সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। আমরা সব সময় চাই ও আরও নাম করুক পদক পাই দেশের হয়ে পদক আনুক আমাদের রানাঘাট কে গর্বে ভরিয়ে দিক। ওর সাফল্য কামনা করি।