সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
নিউটাউন ধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত একজন । ঘটনার দিন দেখা গিয়েছে তাঁর টোটোতে করেই নিউটাউনের লোহার গেল সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা এই টোটো চালককে খুঁজতে নিউটাউন এলাকায় খোঁজাখুজি করছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে একটি মলের সামনে টোটোস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
নিউটাউনের লোহার ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকে এক নাবালিকার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নাবালিকার মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। আর তারপরেই রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তাঁর আরও একটি বোন রয়েছে এবং মৃতার বাবা ইন্ডিয়ান মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত।
সেদিন বাড়িতে ঝামেলা হওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোতেই ঘটে এই বিপদ। অবশেষে সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক টোটো চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। যে টোটো-তে ওই নাবালিকাকে তোলা হয়েছিল, সেই টোটো-টিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
নিউটাউন পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির আসল বাড়ি নদিয়ায়। তবে, সে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরে ভাড়া থাকে। এই ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ব্রেক থ্রু পুলিশের।

সূত্রের খবর, নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে যৌন হেনস্থার প্রমাণও। সূত্রের খবর, নাবালিকার শরীরে ছিল একাধিক আঁচড়ের দাগ, বুকে নখের আঁচড়, মুখের কোণে রক্তের দাগ, নাকের হাড় বেঁকে গিয়েছিল। পরিবারের তরফে যে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল, তাতে খুনের ধারা যুক্ত করে এফআইআর করা হয়েছে। এরপর পুলিশ খুনের সঙ্গে পকসো ধারা যোগ করে মামলা রুজু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই নাবালিকা ওই টোটোতে উঠছে। এরপর নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয় নিউটাউনের সোনাঝুরি হাটের কাছে। তারপর নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছে, নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টোটো-তে তোলে সে। এরপরই ঘটায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।