ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Assembly Budget Session : রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেই বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন রাজ্যপালের, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই তীব্র প্রতিবাদ শুভেন্দু অগ্নিমিত্রার

Assembly Budget Session : রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেই বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন রাজ্যপালের, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই তীব্র প্রতিবাদ শুভেন্দু অগ্নিমিত্রার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। প্রথামাফিক রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন করলেন বাংলার রাজ্যপাল এই আনন্দ বোস। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার কথা বাজেট ভাষণে লেখা থাকায় রাজ্যপাল তা পাঠ না করে....

Assembly Budget Session : রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেই বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন রাজ্যপালের, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই তীব্র প্রতিবাদ শুভেন্দু অগ্নিমিত্রার

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Assembly Budget Session : রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করেই বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন রাজ্যপালের, রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই তীব্র প্রতিবাদ শুভেন্দু অগ্নিমিত্রার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। প্রথামাফিক রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করেই বিধানসভার বাজেট....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

প্রথামাফিক রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করেই বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধন করলেন বাংলার রাজ্যপাল এই আনন্দ বোস। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার কথা বাজেট ভাষণে লেখা থাকায় রাজ্যপাল তা পাঠ না করে নিজের বক্তব্য পাঠ করবেন বলে আগে দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্যপাল সেই পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ১১ পাতার বক্তব্য সম্পূর্ণ পাঠ করেন কোন কাটছাঁট না করে। আর তাতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি পরিষদীয় দল।

 

রাজ্যপালের ভাষণের মাঝে প্রতিবাদ বিজেপির

 

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে ফেলার অভিযোগে সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের বক্তৃতায়। ওই প্রকল্পকে ‘জলস্বপ্ন’ বলে দেখানো হয়েছে। রাজ্যপাল ভাষণের সেই অংশ পাঠ করতেই প্রতিবাদ করে ওঠেন শুভেন্দুবাবু। ভাষণের মাঝেই তিনি জানান, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে। এর আগেও তারা এই কাজ করেছিল। শুভেন্দু জানান, এর আগে প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে কথা উঠলে কেন্দ্রের কাছে ভুল স্বীকার করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই সময়ে জল প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপালের ভাষণে আবার একই কাজ করায় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকে অভিযোগ জানাবেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাটিলকে ইমেলও করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, প্রকল্পের নাম সংশোধন না-করলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হোক। এর আগে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী ভাষণ পাঠ করবেন না বলে রাজ্যের পাঠানো বক্তৃতা ফেরত পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে তা সংশোধন করলে ভাষণ পাঠে তিনি রাজি হয়েছেন। তবে রাজভবনের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। রাজভবন জানায়, বিতর্কিত কোনও বিষয়ে তারা মন্তব্যই করবে না। রাজ্য সরকার যে ভাষণ পাঠিয়েছে, রাজ্যপাল সেটাই পাঠ করেছেন। সোমবার তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ‘কঠোর’ মন্তব্য ছিল না বটে। তবে কেন্দ্রের টাকা যে বাংলা পাচ্ছে না, তার উল্লেখ রাজ্যপালের ভাষণে রয়েছে।

বিধানসভায় মুখোমুখি মমতা শুভেন্দু 

সোমবার বিধানসভায় ফিরল সৌজন্যের রাজনীতিও। বাজেট অধিবেশনের সূচনা বক্তৃতার জন্য এদিন বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে রিসিভ করতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় বিধানসভা কক্ষে ঢুকছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই মমতা-শুভেন্দুর মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়। মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে যাবেন কিনা। মমতা জানতে চান, “তুই যাবি না?” উত্তরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়ে দেন, তিনি যাবেন না। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা তো ওঁর কাজ। প্রোটোকল সেটাই বলে।”

যদিও এই প্রথম নয়, অতীতেও একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতার ঘরে গিয়েও কথা বলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আজ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে ফের একবার মুখোমুখি হলেন দু’জনে।

আজকের খবর