ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata on Tea Garden : “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল, বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে, এটা একেবারেই নয়” নবান্ন থেকে বিস্ফোরক মমতা

Mamata on Tea Garden : “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল, বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে, এটা একেবারেই নয়” নবান্ন থেকে বিস্ফোরক মমতা

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে আছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল। বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে। এটা একেবারেই নয়।” এভাবেই বিজেপি এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে চা বাগানের জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে যে....

Mamata on Tea Garden : “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল, বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে, এটা একেবারেই নয়” নবান্ন থেকে বিস্ফোরক মমতা

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata on Tea Garden : “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল, বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে, এটা একেবারেই নয়” নবান্ন থেকে বিস্ফোরক মমতা

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। “উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে আছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল। বলা....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

“উত্তরবঙ্গে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার সঙ্গে আছে ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল। বলা হচ্ছে চা-বাগানের জমিতে পর্যটন হবে। এটা একেবারেই নয়।” এভাবেই বিজেপি এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে চা বাগানের জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, “চা-বাগানের জমি রাজ্য সরকারের। তা লিজ দেওয়া হয়। চা-পাতা যেখানে উৎপন্ন হয় সেই জমির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। যেখানে চা-পাতা উৎপন্ন হয় না সেটা দেওয়া হবে হোটেল, রিসর্ট অথবা হোম স্টে করার জন্য। আগামী তিন বছরের জন্য ৬টি ধুঁকতে থাকা চা-বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারে। চা পর্যটনে এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

আজ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “উত্তরবঙ্গের ৬টি ধুঁকতে থাকা চা-বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। এই বাগানগুলির কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। সেই বাগানগুলি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকরা সঠিক সময়ে বেতন দিতে পারেন। যদি তাঁরা সফলভাবে চালাতে পারেন, কর্মীদের বেতন দিতে পারেন, ঠিকমতো প্রভিডেন্ট ফান্ড-গ্র্যাচুইটি দিতে পারেন তাহলে বাগানগুলি ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।”
এছাড়া যে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে চা-বাগানের জমি নিয়ে সে বিষয়েও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি নিয়ে নিতে আইনে বদল ঘটানো হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এসবের পিছনে রাজনৈতিক দল আছে বলেও তাঁর দাবি। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কিছু ভূতুড়ে রাজনৈতিক দল এই মিথ্যে প্রচার করছে। চা-বাগানের জমির আইনে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। কোনও চা-বাগানে যদি উদ্বৃত্ত জমি থাকে তবে সেই জমিতেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর একসঙ্গে ৩০ একর জমি কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।”

পর পর দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যে বিতর্ক হতে সময় লাগেনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি-র প্রায় সকলেই তীব্র আক্রমণ করেন তাঁকে। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন মমতা। জানালেন, তিনি পুণ্যার্থীদের অসম্মান করেননি। তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।

মমতা বলেন, “আমি যতদূর জানি, ১২ বছর অন্তর মহাকুম্ভ হয়। আমি যতদূর জানি, পুরীর মন্দিরের নিমকাঠের মূর্তিরও ১২ বছর অন্তর পাল্টানো হয়। এক এক জায়গায় এক এক রকম নিয়ম। কিন্তু যাঁরা বলছেন ১৪৪ বছর কুম্ভ হচ্ছে এটা ঠিক নয়। একতরফা প্রচার হচ্ছে। যদি ভুল থাকে সংশোধন করে দেবেন। কিন্তু আমি যতদূর জানি, গঙ্গাসাগরে প্রতিবছর পুণ্যস্নান হয় সংক্রান্তিতে। ১৪৪ বছর পর কুম্ভ হচ্ছে বা ১৪৪ বছর আগে কুম্ভ হয়েছিল, আমি এব্যাপারে অজ্ঞ। বিশিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁদের অনুরোধ, আপনারা গবেষণা করে আমাদের সঠিক তথ্যটা জানান। অনেক জায়গায় মানুষ মারা গিয়েছেন। পদপিষ্ট হয়েছন অনেকে। যাঁরা স্নান করছেন, তাঁদের নিয়ে কিছু বলিনি আমি। তাঁদের প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে। কে কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কী করবেন, এটা যাঁর যাঁর নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু বহু মানুষ স্বজন হারিয়েছেন। আমি যদি বিয়েবাড়ির আয়োজন করি, বাড়তি খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ৪০০ লোক ডাকলে, ব্যবস্থা করতে হয় ৫০০ লোকের। এটাই পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা। ধর্মের ক্ষেত্রেও কত ক্ষমতা, কত মানুষ আসতে পারেন, কী ভাবে পৌঁছতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে পরিকল্পনা করতে হয়। আমার কথা বিকৃত করা হয়েছে, কুকথা-অকথা বলা হয়েছে। আপনারা যা বলছেন, তা অসত্য, সম্পূর্ণ মিথ্যা। জীবনে কোনও ধর্মকে অসম্মান করিনি আমি। গঙ্গাসাগরের সময় পাঁচ-ছ’দিন ঘুমাই না আমরা। দুর্গাপুজোর সময় কার্নিভাল পর্যন্ত নজরদারি চলে।”

মমতা এদিন জানান, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু পরিকল্পনা না থাকার দরুণ কিছু ঘটলে, সেক্ষেত্রে দোষ বর্তায়। কারণ মানুষকে ভুগতে হয়। যোগী তাঁকে যেভাবে আক্রমণ করেন, সেই প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, “যোগীর কাছে আবেদন, আপনি আমাকে গালাগালি দিলেও আমার গায়ে লাগবে না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সম্মান জানিয়েই বলছি, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের ময়নাতদন্তের, মৃত্যুর শংসাপত্র দেননি। আমরা বাধ্য হয়েছি নিজেদের মতো করে করিয়ে নিতে। অন্য রাজ্যে কী হয়েছে জানি না। অনেক জায়গায় পদপিষ্ট হয়ে, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন মানুষ। সকলকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা হোক। ক্ষতিপূরণের ঘোষণা যখন করেছেন, অবিলম্বে হাতে টাকা তুলে দেওয়া হোক।”

মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসঙ্গে মমতা জানান, হিডকোকে দায়িত্ব দিয়েছে তাঁর সরকার। প্রত্যেককে আসার জগন্নাথ ধাম দর্শনে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এব্যাপারে ‘হাইপ’ তুলতে চান না। ক্ষমতার বাইরে গিয়ে প্রচার করতে চায় না তাঁর সরকার। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য সরকারি ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এদিন ক্যাবিনেটের বৈঠকে ওই ট্রাস্ট পাশও করানো হয়। মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ২৭ জনের কমিটিতে ইসকন, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, দিঘার মাসির বাড়ি, কালীঘাট মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের একজন করে সদস্যকে রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী পরশুদিন মন্দিরের বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ড বৈঠক করবে। সেখানে মন্দিরের উদ্বোধন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করবেন। জগন্নাথ ধামের জমি এবং বাড়ি হিডকোর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বাকি সিদ্ধান্ত ট্রাস্ট নেবে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি হাইপ তুলতে চাই না। আমার নিজের যতটা ক্যাপাসিটি তার মধ্যে থেকেই আমি কাজ করতে চাই।”

আজকের খবর