ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Industry : “শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান – নবান্নে শিল্পপতিদের অনুরোধ মমতার

Mamata Industry : “শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান – নবান্নে শিল্পপতিদের অনুরোধ মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। শিল্পপতিদের বলব, শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, প্রয়োজন নেই। সরকার কাজ করলে কারও থেকে কিছু নিয়ে করে না। স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান। বাংলায় শিল্প উন্নয়নের গতি যাতে কোনভাবে স্তব্ধ না হয়ে....

Mamata Industry : “শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান – নবান্নে শিল্পপতিদের অনুরোধ মমতার

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Industry : “শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান – নবান্নে শিল্পপতিদের অনুরোধ মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। শিল্পপতিদের বলব, শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, প্রয়োজন নেই।....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। 

শিল্পপতিদের বলব, শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, প্রয়োজন নেই। সরকার কাজ করলে কারও থেকে কিছু নিয়ে করে না। স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান। বাংলায় শিল্প উন্নয়নের গতি যাতে কোনভাবে স্তব্ধ না হয়ে যায় সেই কারণে এভাবেই রাজ্য প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র এক মাস আগেই অষ্টম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে বিপুল অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে এবং সেই সমস্ত প্রস্তাব দ্রুতগতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং শিল্প উন্নয়ন নিগম মঞ্জুর করেছে বলে রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন মমতা।

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর প্রথম শিল্প বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে বৈঠক থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা মমতার। শিল্প নিয়ে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তা মমতার। ফাইল ভালো করে গবেষণা করে দেখতে হবে, কোনও অনীহা চলবে না, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনের পর এক মাসও অতিক্রান্ত হয়নি। তারই মধ্যে রাজ্যের শিল্পায়নে গতি আনতে বড় মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যস্তরে গঠিত হল শিল্প সমন্বয় কমিটি। সেই সঙ্গে উদ্বোধন হল নয়া পোর্টালেরও।

এই পোর্টালের সাহায্যে রাজ্যের শিল্পায়নের জন্য সরকারের কোথায় কত জমি রয়েছে, কে বা কারা সেখানে শিল্প স্থাপনের জন্য আবেদন করছেন, প্রকল্পের কাজ কতদূর এগোল-সহ শিল্প সংক্রান্ত সব তথ্যই জানা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মেধা থেকে দক্ষতা, বাংলা সবদিক থেকে এগিয়ে। অথচ গড়িমসির জন্য অনেক সময় অনেক প্রজেক্ট দেরি হয়ে যায়। এ জিনিস আর সহ্য করা হবে না। কোথায় আটকে রয়েছে,, কী কারণ আটকে রয়েছে এগুলো দেখতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। গড়িমসির জন্য বাংলার ভবিষ্যত যেন নষ্ট না হয়। সেজন্যই এই পোর্টাল।”

হঠাৎ এই পোর্টালের প্রয়োজন কেন হল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যে ৬টা ইকোনমিক করিডর তৈরি হচ্ছে, এটা গেম চেঞ্জার, রাজ্যের চেহারায় বদলে যাবে। তাই শিল্প স্থাপনে জমির অন্তরায় সমাধানে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্যই এই পোর্টাল। একটা পরিবেশ তৈরি করা। যাতে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে আরম্ভ করে সবকিছু এক ছাতার তলায় রাখা যায়।

 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে জোর দিলেন মমতা। কোথায় কোথায় শিল্পের পথে বাধা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যা নিরসনের দায়িত্ব মনে করালেন মুখমন্ত্রী। রাজ্য স্তরের সিনার্জি কমিটি গঠন করা হবে, প্রতি চার সপ্তাহ অন্তর তারা কমিটির বৈঠক হবে। কমিটির সব রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। বাংলার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা মমতার।

 

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বহু শিল্পপতি বাংলায় লগ্নির ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তারপর সোমবার বিকেলে শিল্প বৈঠক করলেন তিনি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী স্টেট লেভেল সিনার্জি কমিটি তৈরির কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, প্রতি ৪ সপ্তাহ পর বৈঠক করবে এই কমিটি। দীর্ঘদিন ধরেই বহু ফাইল আটকে রয়েছে। যে কারণে আটকে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। সেই সমস্যা সমাধানে আধিকারিকদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভালো করে ফাইল স্টাডি করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের বার্তাই দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “গড়িমসির জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ যেন বিপন্ন না হয়।”

 

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে অসন্তোষের সমাধান করতে হবে বলে বার্তা মমতার। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করতে কোনও কাজ নয়, স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “শিল্পপতিদের বলব, শিল্প করতে গেলে কেউ কিছু চাইলে দেবেন না, প্রয়োজন নেই। সরকার কাজ করলে কারও থেকে কিছু নিয়ে করে না। স্থানীয় নেতা টাকা চাইলে অভিযোগ জানান।”

 

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শিল্প নিয়ে কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রীর। সরকারের কোনও কাজে টাকা নেওয়া অপরাধ বলে মন্তব্য মমতার। তিনি বলেন, “রেলমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, এত বড় দফতর হাতে ছিল, আজ কেউ একটা কথাও বলতে পারবে না। মানুষ ভালোবেসে পার্টিকে কিছু দিতে চাইলে তাঁর আলাদা সিস্টেম রয়েছে।”

 

অনেকক্ষেত্রেই বিভিন্ন কারণে স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “কেউ টাকা চাইলে সরাসরি অভিযোগ করুন। সরকারি কাজের জন্য কারও থেকে টাকা নেওয়া অপরাধ।” জেলায় জেলায় কো অর্ডিনেশন কমিটি তৈরির করার কথাও বলেন তিনি। বহুতল তৈরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় বসতি উচ্ছেদ হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বসতি ফাঁকা করে বিল্ডিং নয়। এর জন্য ফাঁকা জমি ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন তিনি।

এদিনের মঞ্চ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্তাদের উদ্দেশে নয়া ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “সব ডিপার্টমেন্টে জমি পড়ে রয়েছে। অনেকে খোঁজও রাখেন না। প্রত্যেক বিভাগকে বলব, তাদের কোথায় কত জমি পড়ে রয়েছে, যেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমাদের জানাতে হবে হবে। যে না পাঠাবেন তাঁর সেই দফতরে থাকার অধিকার নেই।”

 

ট্রেড ইউনিয়নগুলিকেও কড়া বার্তা মমতার। তিনি জানান, “হঠাৎ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করে দেওয়া ঠিক নয়। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে এব্যাপারে দায়িত্ব দিলেন মমতা। তিনি আরও জানান, “এখানে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখা হবে না।”

পাশাপাশি জানিয়ে দেন, নাইট টাইমে ওয়াচ টাওয়ার বাড়াতে হবে। সিসিটিভি গুলো যেন ঠিক থাকে। নজর বাড়াতে হবে। পরপর একাধিক অনুষ্ঠান আছে। ১৪ এপ্রিল কালীঘাটের স্কাই ওয়াকের উদ্বোধন হবে। একই সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন নিয়েও এদিন বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। গতমাসে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ কাজে কুম্ভমেলায় অমৃতস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্টের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ওই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। যাঁরা গাড়ি নিয়ে যেতে চান তাঁদের বলব ২৮ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে। কারণ, পরের দু’দিন মন্দির সংলগ্ন ৩ থেকে ৪ কিমি রাস্তার মধ্যে কোনও গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি হাইপ করতে চায় না, যারা যেতে চান ২৮ তারিখের মধ্যে চলে যাবেন। আমি চাই না পদপিষ্ট হোক।”

জাতীয় সড়কে ইকনমিক করিডর নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার। তিনি জানান, “জেলায় জেলায় ৩ হাজার একর জমি চিহ্নিত হয়েছে। অনেক দফতরের কাছে জমি পড়ে রয়েছে। জমিগুলি দখল হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেউ খবর রাখেন না।” সরকারি সমস্ত দফতরকে পড়ে থাকা জমির ব্যাপারে তথ্য দিতে নির্দেশ মমতার। ৩ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

কাজে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যস্তরে গঠিত শিল্প সংক্রান্ত কমিটকে নিয়ে চারদিন অন্তর বৈঠকে বসবেন মুখ্যসচিব। একইভাবে জেলায় জেলাশাসকদের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “শুধুই কলকাতা কেন্দ্রিক শিল্প হলে তো হবে না, জেলাতেও আমাদের প্রচুর জমি রয়েছে। আইটি টু ক্ষুদ্র শিল্প- সব ক্ষেত্রেই বাংলা স্কিল এবং মেধায় সেরা। মনে রাখবেন, একটা বড় কারখানা হলে ১ থেকে দেড় হাজার চাকরি হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট কারখানা হলে লক্ষ লক্ষ চাকরি হতে পারে।”

এডিডিএ-র প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর

আড্ডা (এডিডিএ বা আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) ডব্লিউবিআইডিসি-কে (রাজ্য শিল্প উন্নয়ন দপ্তর) জমি দিয়ে দিয়েছে। ওরা সময় মতো কাজ করে দিয়েছে। ভালো লোককে কাজে রাখলে ভাল কাজ হয়। দুর্গাপুর এবং হলদিয়ার আইএনটিটিইউসি-র চেয়ারম্যান বদল করব। গ্ৰাফাইট দেখবে ঋতব্রত। 

আজকের খবর