ব্রেকিং
  • Home /
  • ভারত /
  • RSS Hindu Rashtra : ভারতে মুসলমান খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই, কারণ ভারত সনাতন হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হিন্দু রাষ্ট্র – দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

RSS Hindu Rashtra : ভারতে মুসলমান খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই, কারণ ভারত সনাতন হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হিন্দু রাষ্ট্র – দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ভারতে মুসলমান অথবা খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই। ভারতের কোন অ-হিন্দু নাগরিক নেই। কারণ ভারত বর্ষ প্রাচীন সনাতন হিন্দুত্বের আদর্শে তৈরি সম্পূর্ণ একটি হিন্দু রাষ্ট্র। ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে এমন....

RSS Hindu Rashtra : ভারতে মুসলমান খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই, কারণ ভারত সনাতন হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হিন্দু রাষ্ট্র – দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

  • Home /
  • ভারত /
  • RSS Hindu Rashtra : ভারতে মুসলমান খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই, কারণ ভারত সনাতন হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হিন্দু রাষ্ট্র – দাবি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ভারতে মুসলমান অথবা খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই। ভারতের কোন....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

ভারতে মুসলমান অথবা খ্রিস্টান বলে আলাদা কোন জাতির অস্তিত্ব নেই। ভারতের কোন অ-হিন্দু নাগরিক নেই। কারণ ভারত বর্ষ প্রাচীন সনাতন হিন্দুত্বের আদর্শে তৈরি সম্পূর্ণ একটি হিন্দু রাষ্ট্র। ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে এমন দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মোহন ভাগবতের দাবি, মুসলিম হোক বা খ্রিস্টান – সকলেই একই পূর্বপুরুষের বংশধর। দেশের মূল সংস্কৃতি হল হিন্দু। বেঙ্গালুরুতে সংঘের ১০০ বছরের যাত্রা : নয়া দিগন্ত – শীর্ষক আলোচনা সভায় সংঘের প্রধান দাবি করেন, প্রত্যেক হিন্দুর এটা বোঝা উচিত যে তাঁরা হিন্দু। কারণ হিন্দু হওয়ার অর্থ হল যে ভারতের প্রতি দায়বদ্ধ হওয়া। পুরো দেশে কেউ অহিন্দু নন। সব মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা হলেন একই পূর্বপুরুষের বংশধর। ওঁরা সেটা জানেন না বা ওঁদের সেটা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সংবিধানে যেখানে ভারতবর্ষকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দাবি করেন, যখন কোনও সংগঠিত শক্তিকে আরএসএসের মতো গড়ে তোলা হয়, তখন সেটি ক্ষমতার দিকে তাকিয়ে থাকে না। সমাজে খ্যাতি চায় না সেই সংস্থা। তারা শুধুমাত্র ভারত মাতার গৌরবের জন্য সমাজকে সেবা করতে চায়। দেশের জন্য সংগঠিত করতে চায় সমাজকে। যাঁরা প্রশ্ন করেন যে আরএসএস কেন হিন্দু সমাজের উপরে মনোনিবেশ করে, সেটার উত্তর সহজ। উত্তরটা হল যে ভারতের প্রতি দায়বদ্ধ হিন্দুরা। ভারতীয় সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে চলেন। তাই কেউই অহিন্দু নন। সেই কারণেই ভারত হিন্দুরাষ্ট্র। সনাতন ধর্ম হল হিন্দুরাষ্ট্র। সনাতন ধর্মের অগ্রগতিই হল ভারতের অগ্রগতি।
এর পাশাপাশি ভারতে অন্য কোন ধর্মের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে মোহন ভাগবত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ব্রিটিশরা আমাদের দেশের তকমা দিয়েছে, এমনটা নয়; আমরা একটি প্রাচীন জাতি। বিশ্বের সবপ্রান্তের মানুষ একমত যে প্রতিটি জাতির নিজস্ব মূল সংস্কৃতি রয়েছে। এখানে অনেক মানুষ রয়েছেন। কিন্তু একটি মূল সংস্কৃতি রয়েছে। ভারতের মূল সংস্কৃতি কী? আমরা যেরকমভাবে বর্ণনা করে থাকি না কেন, সেটি আমাদের হিন্দু শব্দটির দিকে নিয়ে যায়।

ভারতকে আগামী দিনে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার জন্যেই যে আরএসএস লড়াই করছে তা স্পষ্ট করে দিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, আমরা সমগ্র হিন্দু সমাজকে একত্রিত, সংগঠিত এবং গুণাবলী প্রদান করতে চাই, যাতে তারা একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভারত তৈরি করতে পারে, যা বিশ্বকে ধর্মের জ্ঞান প্রদান করবে, যাতে বিশ্ব সুখী, আনন্দময় ও শান্তিপূর্ণ হয়। এই কাজের অংশটি সমগ্র সমাজ, সমগ্র জাতিকে করতে হবে। আমরা হিন্দু সমাজকে এর জন্য প্রস্তুত করছি। আমাদের একটাই দৃষ্টিভঙ্গি, একক দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা সেই দৃষ্টিভঙ্গি পূরণ করার পর, আমরা আর কিছু করতে চাই না। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা, এটাই আমাদের কাজ। আমরা এটা শেষ করব, এবং সংগঠিত সমাজ বাকিটা করবে। আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো একটি সংগঠিত, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ।

আজকের খবর