ব্রেকিং
  • Home /
  • ক্রাইম /
  • JK Terrorist Arrested: জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা, ক্যানিং থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরি জঙ্গি

JK Terrorist Arrested: জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা, ক্যানিং থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরি জঙ্গি

অমিত চক্রবর্তী। কলকাতা সারাদিন। জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা। দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাঁটি কাটছে সশস্ত্র জঙ্গীরা। ক্যানিং থেকে গ্রেফতার জম্মু ও কাশ্মীরের এক জঙ্গি। তেহরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য ওই জঙ্গির বাড়ি কাশ্মীরের তাংপুরায়। নাম জাভেদ মুন্সি। কাশ্মীর পুলিস রাজ্য....

JK Terrorist Arrested: জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা, ক্যানিং থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরি জঙ্গি

  • Home /
  • ক্রাইম /
  • JK Terrorist Arrested: জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা, ক্যানিং থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরি জঙ্গি

অমিত চক্রবর্তী। কলকাতা সারাদিন। জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা। দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাঁটি কাটছে সশস্ত্র....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

অমিত চক্রবর্তী। কলকাতা সারাদিন।

জঙ্গিদের টার্গেটে কলকাতা। দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাঁটি কাটছে সশস্ত্র জঙ্গীরা।
ক্যানিং থেকে গ্রেফতার জম্মু ও কাশ্মীরের এক জঙ্গি। তেহরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য ওই জঙ্গির বাড়ি কাশ্মীরের তাংপুরায়। নাম জাভেদ মুন্সি। কাশ্মীর পুলিস রাজ্য এসটিএফের সহায়তায় ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে থেকে পাকড়াও করে জাভেদকে। বহু দিন ধরেই জাভেদ পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। আজ তাকে আলিপুর আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে কাশ্মীর নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
কয়কদিন আগেই অসম পুলিস ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ২ জন বাংলার বাসিন্দা। এখন তেহরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য জাভেদ মুন্সি কেন বাংলায় এসেছিল, শুধু লুকিয়ে থাকাই তার উদ্দেশ্য ছিল নাকি সে এখানেও নেটওয়ার্ক তৈরির করার চেষ্টা করছিল সেটাই এখন দেখার। জানা যাচ্ছে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর উপরে একাধিক হামলার সঙ্গে জড়িত জাভেদ মুন্সি।

ক্য়ানিংয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় জাভেদকে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন ভারতের উত্তর পূর্বের সেভেন সিস্টারস ও কাশ্মীরে জঙ্গদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে খবর। এখন সেরকম কোনও কাজেই জাভেদ ক্যানিংয়ে বাসা বেঁধে ছিল কিনা সেটাও ভাবাচ্ছে পুলিসকে।

এনিয়ে প্রাক্তন পুলিস কর্তা সত্যজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে জঙ্গিরা বাংলায় ঢুকছে। তারপর তারা কাশ্মীর, কেরালা-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জন অরণ্যে মিশে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সীমান্ত রক্ষীদের হাই অ্যালার্টের মধ্যে রাখতে হবে যাতে একটা লোকও যেন বাইরে থেকে দেশে আসতে না পারে। যারা এদেশে ঢুকবে তাদের ধরে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জনগণের স্বার্থ জড়িত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা সূত্রে খবর পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরালা-সহ একাধিক রাজ্যে জাল বিস্তার করতে জোটবদ্ধ আনসার উল বাংলা টিম- জেমবি। আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের ছাতার তলায় থেকে নতুন ভাবে কাজ শুরু করেছে জেএমবি-এটিবির সদস্যরা। বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সু্যোগে জঙ্গি সংগঠন গুলির নয়া স্ট্রাটেজি উদ্বেগে ভারতীয় গোয়েন্দারা। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের জমানায় যে ভাবে পাকিস্তানে জাহাজগুলোকে খোলা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসার নিয়ম শিথিল করেছে তার রীতিমতো উদ্বেগজনক। কারণ, ২০১৪ সালে গঠিত AQIS-এর ভরকেন্দ্র এবং মূল নিয়ন্ত্রকরা পাকিস্তানে অবস্থিত । ফলে পাকিস্তান থেকে অনায়াসে বাংলাদেশে এবার তারা চলে আসতে পারে এমনকী, এদেশেও অনুপ্রবেশে আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

২০১৪ সালে যখন AQIS তৈরি হয় সে সময় থেকে আলকায়দার অধীন কাজ করতে শুরু করে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন এবিটি। যদিও জেএমবির তখন AQIS যোগ দেয়নি। তাদের নেতারা ছিল আইএসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের লাগাতার অভিযানে ধরে পড়ে জেএমবি’র বড়বড় মাথার। অনেকটাই শক্তি হারায় জেএমবি। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, বর্তমানে জেএমবি’র বাকি সদস্যরাও AQIS এর ছাতার তলায় থেকে কাজ শুরু করেছে

এই তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে উদ্বেগজনক,কারণ খাগড়াগড বিস্ফোরণের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ বা এদেশে বাংলাদেশে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ সামনে আসে, তাতে মূলত দেখা যায় এদেশের মাটিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে অশান্তি করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু এখন তাদের উদ্দেশ্য এখানে স্লিপার সেল, মডিউল তৈরি করে ভারতেই অশান্তি বাধানো, নাশকতার পরিকল্পনা করা। খাগড়াগডের সময় ধরা পড়া শিমুলিয়া, মুকিমনগর মাদ্রাসার গুলোর মতো বিভিন্ন খারিজ মাদ্রাসা আড়ালে মগজ ধোলাইয়ের, প্রশিক্ষণের পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

এমনকী, মহিলাদেরও একভাবে নিয়োগের চেষ্টা চলছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর. তাদেরও অস্ত্র প্রশিক্ষণের পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি সীমান্তে বহু মহিলা মাদ্রাসা খোলা হয়েছে কী উদ্দেশ্যে সেটাও খতিয়ে দেখা চলছে। কারা টাকা জুগিয়েছেন? সে গুলোর উপরে কেন্দ্র ও রাজ্য গোয়েন্দাদের নজর রয়েছে।

আজকের খবর