সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
মুক্তি পেলেও এখনই চাপ মুক্ত হচ্ছে না ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী (Sayan Lahiri) । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আজ শনিবার দুপুর দুটোর আগেই তাঁর জেলমুক্তি ঘটে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশে জানায় যে, শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যেই সায়ন লাহিড়ীকে মুক্তি দিতে হবে।
সেই নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি দেওয়া হল। বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে মুক্তি দেওয়া হয় সায়নকে। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। আজ শনিবার এই সংক্রান্ত আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Nabanna Abhijan) ।
ফলে সায়নকে ঘিরে আইনি জটিলতা অব্যাহত থাকল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন সায়ন। তবে যে গণআন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল, বোনের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর অন্যতম এই আহ্বায়ক। তবে এই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিন আদাললত থেকে ছাড়া পেয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, গণআন্দোলনের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী আমার এবং পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। তবে নবান্ন অভিযানের ঘটনায় একাধিক জেলে বহু সতির্থ বন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাকি ধৃতদের ছাড়ানোর জন্য লড়াই জারি থাকবে বলে জানান সায়ন। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
বলে রাখা প্রয়োজন, নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) কেন্দ্র করে মঙ্গলবার একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। গঙ্গার দুপার একেবারে উত্তপ্ত হয়ে অঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, জল কামান, কাঁদানে গ্যাস প্র্যহ করতেও বাধ্য হন। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। পাথরের আঘাতে এক পুলিশ আধিকারিকের চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
এই প্রসঙ্গে সায়ন লাহিড়ী জানান, ঘটনা ‘খুব দুর্ভাগ্যজনক’। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যারা অশান্তি করেছে তাঁদেরকে পুলিশের চিহ্নিত করা উচিৎ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এদিন জানান সায়ন।