শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
টানা চার বছরে চার আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে নয়া রেকর্ড গড়লেন রোহিত শর্মা।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করলেন রোহিত শর্মা।

১২ বছর পর ফের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জিতল ভারতীয় দল। দুবাইতে মেগা ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হল টিম ইন্ডিয়া।
ফাইনাল ম্যাচেও টস ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি ভারতকে। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কিউয়ি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
দ্রুত উইকেট তোলার জন্য পাওয়ার প্লের মধ্যেই বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে আসেন রোহিত শর্মা।। নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন সেই বরুণই। ৫৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বরুণের বলে এলবিডব্লু হন উইল ইয়ং।
এরপর বল হাতে কামাল করলেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরালেন ৩৭ রানে। ১১ রান করার পরই কুলদীপের বলেই আউট হলেন কিউয়ি অভিজ্ঞ ব্যাটার। এরপর বল হাতে উইকেট পেলেন জাদেজা। টম লাথামকে ১৪ রানে আউট করলেন।
এরপর কিউয়ি ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ড্যারিল মিচেল এবং গ্লেন ফিলিপস। এই দুই ব্যাটার অর্ধশতরানের একটা পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। গ্লেন ফিলিপস ৩৪ রান করে আউট হলেও অর্ধশতরান করেন ড্যারিল মিচেল। ১০১ বলে ৬৩ রান করার পর শামির বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন ড্যারিল মিচেল। মাইকেল ব্রেসওয়েল শেষ দিকে অর্ধশতরান করলেন। ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। বরুণ, কুলদীপ দুটি করে উইকেট নেন। শামি ও জাদেজা একটি করে উইকেট পেলেন।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন ভাবেই করলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরু থেকেই ভারতীয় দলের ওপেনিং জুটিকে নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে শতরানের পার্টনারশিপ তৈরি করলেন রোহিত এবং গিল জুটি। শুরু থেকেই আগ্রাসী ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকেন রোহত। ১০৫ রানে ভারতের ওপেনিং জুটির পতন হল।
৩১ রান করে মিচেল স্যান্টনার বলে আউট হলেন গিল। এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ তালুবন্দি করলেন গ্লে ফিলিপস। তিন নম্বরে নেমে মেগা ম্যাচে ব্যর্থ হলেন কোহলি। ১ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হলেন কোহলি। অর্ধশতরান করার পর শতরানের দিকেই এগোচ্ছিলেন রোহিত। কিন্তু ৮৩ বলে ৭৬ রান করা রাচিনের বলে স্টাম্প রোহিত। এরপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি হল ভারতের উপর।
শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলের জুটি ভারতের ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেন। মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসা শ্রেয়স। এই ম্যাচেও উইকেটে টিকে থেকে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। মাঝে মধ্যে আক্রমণাত্বক হন। ৪৪ রানে তাঁর ক্যাচ ফস্কালেন জিমি। তবে অর্ধশতরান করার আগেই আউট হলেন শ্রেয়স। ৪৮ রান করে মিচেল স্যান্টনার বলে আউট হলেন শ্রেয়স। অক্ষর ৪০ বলে ২৯ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হলেন।

পেণ্ডুলামের মতোই দুলল ফাইনাল ম্যাচের ভাগ্য। একটি করে উইকেটের পতন হতে থাকে ভারতীয় শিবিরে চাপ বৃদ্ধি পায়। রাহুল এবং হার্দিক হাল ধরেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের। এই জুটিই ভারতীয় দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে হার্দিক ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হলেন। এরপর জাদেজা এবং রাহুলের জুটি দলকে জয় এনে দিলেন।নিউজিল্যান্ডের প্ল্যান এ, বি, সি কাজে এল না। অপরাজিতভাবেই চ্যাম্পিয়ন ভারত।