কলকাতা সারাদিন ডেস্ক।
বিশ্ব নাট্যদিবস এর চারদিন আগেই গত ২৩শে মার্চ রবিবার তৃপ্তি মিত্র নাট্য গৃহে “আরুষি পার্বণ” এর অঙ্গ হিসাবে পালিত হলো “বিশ্ব নাট্য দিবস” ।
বালিগঞ্জ আরুষির এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্য ব্যাক্তিত্ব শ্রদ্ধেয় শ্রী অরূপ রায়, শ্রী অরিন্দম রায় এবং শ্রীমতি সুপর্ণা ভট্টাচার্য।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অতিথিবর্গ এবং আরুষির পক্ষ থেকে প্রারম্ভিক অভিবাদন করেন শ্রী সুমিত দাশগুপ্ত। একে একে বক্তব্য রাখেন শ্রীমতি সুপর্ণা ভট্টাচার্য, শ্রী অরূপ রায়, শ্রী অরিন্দম রায় ।

শ্রদ্ধেয় শ্রী অরূপ রায় বলেন থিয়েটার জগৎটা খুবই ছোট, কিন্তু তার কথা বলার ক্ষমতা প্রচুর। তাই থিয়েটারকে সব দিক থেকে দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই চেষ্টাকে নস্যাৎ করে এগিয়ে যেতেই হবে এবং সকলে মিলে লড়ে যেতে হবে প্রানপন।

শ্রী অরিন্দম বাবু বলেন – থিয়েটার সর্বদাই সত্য কথা বলে এবং সত্যকে আশ্রয় করেই এগিয়ে গেছে, ভবিষতেও সত্যকে ভিত্তি করেই থিয়েটার তার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখবে। সুপর্ণা দেবি বলেন – নাটক বা থিয়েটার করতে হলে একজন নাট্যকর্মীর যাপনটাও সৎ হওয়া ভীষণভাবে দরকার।

বিশিষ্ট জনদের বক্তব্যের পর বেহালা থার্ডবেল নিবেদন করেন তাদের মঞ্চসফল নাটক – প্রবীর গুহর “সোয়াচান পক্ষীর বাসা”, নির্দেশনা ও একক অভিনয়ে – শান্তনু ভট্টাচার্য। এরপর নাটকের গান পরিবেশন করেন শ্রী অরিন্দম রায় – টুকরো টুকরো গল্পে ও গানে নাট্যদিবস মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে। সবশেষে নেতাজীনগর সরস্বতী নাট্যশালা নিবেদন করে – মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত ও আরুষ দত্ত নির্দেশিত নাটক “কাঁথা”।

বেবি সেন ও আরুষের যুগলবন্দিতে এ নাটক হয়ে ওঠে জীবনের সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি।
এরপর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আরুষির সভাপতি শ্রী বিকাশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও নির্দেশক শ্রী জগদীপ দাস।