ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Calcutta Highcourt against Jobless Teachers : “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন” বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

Calcutta Highcourt against Jobless Teachers : “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন” বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন। আপনারা শিক্ষক। শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। নাহলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা শিক্ষক, আপনাদের অবস্থা আমি বুঝি, কিন্তু সব সরকারি কর্মী তো যুক্ত নেই। তাদের আটকে রাখছেন কেন আন্দোলনের নামে? রাজ্য সরকার এবং আদালত আপনাদের প্রতি....

Calcutta Highcourt against Jobless Teachers : “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন” বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Calcutta Highcourt against Jobless Teachers : “আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন” বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন। আপনারা শিক্ষক। শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। নাহলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন।

আপনারা শিক্ষক। শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। নাহলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা শিক্ষক, আপনাদের অবস্থা আমি বুঝি, কিন্তু সব সরকারি কর্মী তো যুক্ত নেই। তাদের আটকে রাখছেন কেন আন্দোলনের নামে? রাজ্য সরকার এবং আদালত আপনাদের প্রতি যথেষ্ট মানবিক। তার মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবেই আজ বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির অভিযোগে অভিযুক্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানোর পরে বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনের নামে গুন্ডামির অভিযোগ উঠেছে একশ্রেণীর আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ‌ ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে থানায় তদন্তের জন্য নোটিশ পাঠিয়ে ডেকেছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশের নোটিশের কর্ণপাত না করে পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে দুজন। শুধু তাই নয়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনার। কিন্তু পুলিশের তদন্তের সম্মুখীন হবেন না বলে তারা যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তার সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পুলিশের তদন্তের মুখোমুখি তো আপনাদের হতেই হবে। আগামীকাল সকালেই থানায় গিয়ে হাজিরা দিন। পুলিশ আপনাদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না।

তবে আগামীকাল সকালেই নোটিশ পাওয়ার শিক্ষকরা থানায় হাজিরা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দিলেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আজ কঠোর ভাষায় তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্দোলনের নামে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে যে গুন্ডামি করা হয়েছে সেই ঘটনার। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি জানতে চান, এই আন্দোলনের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হুলিগানের মত আচরণ করেছেন বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা। পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আরেক আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার যে কোনো ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু আন্দোলনের নামে অন্তসত্ত্বা মহিলাকে পর্যন্ত আটকানো হয়েছে। বিকাশ ভবনের দরজা, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়েছে। একজন আরেকজনের উপর উঠে দেওয়াল পেরোচ্ছেন। এরা আমাদের রাজ্যের শিক্ষক? আমরা কিছুই করতে পারব না, তারা শুধু লুঠ করবেন। এটা শুধু আন্দোলনকারীদের জীবনের কথা নয়, বাকিদের কথাও ভাবতে হবে। রাজ্য রিভিউ করছে। দেশের একনম্বর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি তাদের হয়ে লড়ছেন। সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা নিতে বলেছে। আমরা কী করব ? দেখুন রাজ্যের ইতিহাস খতিয়ে দেখলে এটা বন্ধ করা সম্ভব না। এই দুজনকে আজকে থানায় যেতে বলুন। গিয়ে বলুন যে কারা ছিল, আমরা এই দুজনকে কিছু করব না।

 

রাজ্য সরকারের তরফের সমস্ত বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলাকারীদের নির্দেশ দেন, আপনারা শিক্ষক, আপনারা বিকাশ ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ হচ্ছে। আমরা কি করে জানব যে এটা সত্যি না মিথ্যা ? বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীরা শিক্ষকরা সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান করতে পারেন। ১০০০ বা দেড় হাজার আন্দোলনকারী বিকাশ ভবনের সামনে রাস্তা আটকে আন্দোলন করলে সাধারণ মানুষকে অসুবিধের মুখে পড়তে হচ্ছে। ৫০-১০০ জন আন্দোলনকারীরা সেন্ট্রাল পার্কে থাকুন। সরকারি কর্মচারি যেন আহত না হন। এটি প্রাথমিক প্রস্তাব। বায়ো-টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে রাজ্য।

এরপরেই আন্দোলনকারীদের ভবিষ্যতের সতর্ক হয়ে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, আপনারা শিক্ষক, শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। নাহলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা শিক্ষক, আপনাদের অবস্থা আমি বুঝি, কিন্তু সব সরকারি কর্মী তো যুক্ত নেই।

 

আজকের খবর