ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Boycotts Niti Ayog : বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না মমতা, মমতার না যাওয়াই বঞ্চিত বাংলা বলে কটাক্ষ বিজেপির

Mamata Boycotts Niti Ayog : বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না মমতা, মমতার না যাওয়াই বঞ্চিত বাংলা বলে কটাক্ষ বিজেপির

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   এর আগেরবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মাইক। বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে এই বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে....

Mamata Boycotts Niti Ayog : বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না মমতা, মমতার না যাওয়াই বঞ্চিত বাংলা বলে কটাক্ষ বিজেপির

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata Boycotts Niti Ayog : বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না মমতা, মমতার না যাওয়াই বঞ্চিত বাংলা বলে কটাক্ষ বিজেপির

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   এর আগেরবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

 

এর আগেরবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার সময় আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মাইক। বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে এই বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেন না তিনি। যা থেকে রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। সেই লক্ষ্যে কোন পথে এগোনো যাবে, তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করেন। অপারেশন সিঁদুরের পর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটা প্রথম বৈঠক।

 

নীতি আয়োগের এই বৈঠকেই এবার যোগ দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মাঝপথে বেরিয়ে আসেন। মমতা বলেন, তাঁর বক্তব্যের মাঝে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁকে বাংলার বঞ্চনার কথা বলতে দেওয়া হয়নি। গত বছরের ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক হয়েছিল। গতবার ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সেই বৈঠকে ছিল না।

মমতা বলেছিলেন, “এনডিএ শরিকদের বলতে বেশি সময় দেওয়া হয়। চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়। অথচ আমি বঞ্চনার কথা বলতেই থামিয়ে দেওয়া হয়। বলতে শুরু করার ৫ মিনিট পরই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটা অপমানজনক। আমি চললাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি বৈষম্য করা উচিত নয়।” মমতা আরও জানান, “রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এসেছিলাম। একা। বিরোধীদের কেউ আসেনি। সব বিরোধীদলের হয়ে কথা বলেছি।”

এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার যোগ না দেওয়া নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “গতবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বক্তব্যের মাঝে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। কেন্দ্র-রাজ্য ঐক্যবদ্ধভাবে একটা সার্বিক আর্থ সামাজিক উত্তরণের জন্য একটা নীতি নির্ধারণ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এমনিতেই পিছিয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। এই রাজ্য থেকে মেধা অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ যখন অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে, তখন নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করা কার্যত পশ্চিমবঙ্গকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হল। বিরোধিতার রাজনীতির কারণে রাজ্যের স্বার্থকে বিসর্জন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।”

যদিও শনিবার তৃণমূল ভবনে কুণাল ঘোষ ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, মমতার না যাওয়ার কারণ হতেই পারে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা। কুণাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যকে হাতে হাত ধরে এক হয়ে কাজ করার কথা, অমুক তমুক বলছেন, তাহলে বাংলার বকেয়াগুলো কোথায় গেল? বাংলা থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যাচ্ছেন, বাংলায় একশো দিনের কাজ করিয়েছেন, সেই টাকা দেননি প্রধানমন্ত্রী। ৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারকে ৩৭ হাজার কোতি টাকা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাও পুরোপুরি রাজ্যের তহবিল থেকে। ১২ লক্ষ আবাসের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেটাও বাংলার বাড়ি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। তবে সরাসরি কারণ দর্শাতে চাননি কুণাল। তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে তাঁরা একটিও মন্তব্য করবেন না। যখন দরকার তখন মুখ্যমন্ত্রী বা সরকার কারণ জানিয়ে দেবেন। কিন্তু কুণাল এও বলেন, বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা যদি হাতে হাত মেলানোর কথা বলেন তাহলে বাংলার মতো একটা রাজ্যকে বঞ্চিত না করে, ফাঁকা বুলি আওড়ানো মানায় না।

নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যোগ না দেওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “যেখানে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে নীতি আয়োগের বৈঠকে সকলের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সেখানে মাইক বন্ধ করে দিয়ে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে গতবার। কেন যাবেন সেখানে? অপমানিত হতে? আর বাংলার কথা কোথায় বলবেন? বাংলার বঞ্চনার কথা মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরছেন। সেখানে গায়ের জোরে মাইক বন্ধ করে কেন্দ্র কী বোঝাতে চাইছে? এর থেকে খারাপ ঘটনা এর আগে হয়নি। ভবিষ্যতে হবে কি না জানি না।”

আজকের খবর