সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি (Sharmistha Panoli)। শর্মিষ্ঠা একজন ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারও। এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হতেই শুরু হয় তদন্ত। শুক্রবার গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় শর্মিষ্ঠাকে।
এরপর ট্রানজিট রিমান্ডের মাধ্যমে তাঁকে আনা হয় কলকাতায়। শনিবার দুপুরে অভিযুক্তকে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এদিন আদালত চত্বরে ছিল পুলিশের ছয়লাপ। কোনওভাবে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না হয়, সেই কারণে পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়।
জেরার জন্য তলব করা হয়েছিল শর্মিষ্ঠাকে
দিনকয়েক পুনের একটি আইন কলেজের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। যা মুহূর্তে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতায় দায়ের হয় এফআইআর। তারপরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। যদিও সে হাজিরা এড়ায়। এবং শর্মিষ্ঠা সহ গোটা পরিবার গা ঢাকা দেয়।

ক্ষমা চেয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা
অবশেষে শুক্রবার তাঁকে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গ্রেফতারির আগেই সে বিতর্কিত ভিডিয়োটি ডিলিট করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে তিনি এই ঘটনা নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। তারপরেও এদিন তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা নিয়ে আসে তদন্তকারীরা।