শৌভিক তালুকদার। কলকাতা সারাদিন।
৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে একটি বৃহৎ কর ছাড় ও ব্যয় হ্রাস সংক্রান্ত বিল-এ সই করলেন।
এই বিল ২০১৭ সালের ট্রাম্পের আলোচিত কর সংস্কারকে স্থায়ী রূপ দিল এবং নতুন করে ইমিগ্রেশন খাতে অর্থ বরাদ্দ করল।
কী আছে এই বিলের মধ্যে?
ট্যাক্স ছাড় স্থায়ী করা হয়েছে: ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চালু হওয়া কর ছাড় ব্যবস্থাগুলিকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক খাতে কাটছাঁট: মেডিকেড, ফুড স্ট্যাম্প ও অন্যান্য সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পে প্রায় $1.2 ট্রিলিয়ন ব্যয় হ্রাস করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন খাতে বরাদ্দ: সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে নতুন বাজেট সংযোজন।
৪ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে সই, যুদ্ধবিমান উড়ল আকাশে
আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সই অনুষ্ঠান হোয়াইট হাউসের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে ছিল—
যুদ্ধবিমান প্রদর্শনী
জাতীয় সংগীত
সংক্ষিপ্ত ভাষণে ট্রাম্পের ঘোষণা:
“এই আইন আমেরিকার অর্থনীতি ও নিরাপত্তাকে আগামী দশকের জন্য শক্ত ভিত দেবে।”
কংগ্রেসে ভোটাভুটি ও বিতর্ক
এই বিলটি হাউসে পাস হয় ২১৮–২১৪ ভোটে, যেখানে মাত্র ৪টি ভোটের ব্যবধানে আইনটি পাশ হয়।
সিনেটে টায়-ব্রেকিং ভোট দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স।
ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ:
প্রায় ২২ লক্ষ আমেরিকান স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারেন, এই আইন কার্যকর হলে।
সামাজিক সুরক্ষা ও শিক্ষা খাতে বাজেট কমানো নিয়ে তীব্র আপত্তি।
ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিলের বিরুদ্ধে কথা বলেন, যা মার্কিন ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ বক্তৃতা।
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলের ফলে:
মধ্যবিত্ত শ্রেণির করদাতাদের উপর কিছুটা স্বস্তি মিলবে।
কিন্তু বাজেট ঘাটতি আগামী ১০ বছরে $3.3 ট্রিলিয়ন পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সামাজিক সুরক্ষা খাতে কম বরাদ্দ হওয়ায় দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের সমস্যা বাড়তে পারে।

৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বরাবর একটি ঐতিহাসিক দিন। এবার এই দিনে ট্রাম্প একটি আলোচিত এবং বিতর্কিত আর্থিক বিল-এ সই করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
একদিকে কর ছাড়, অন্যদিকে সামাজিক খাতে কাটছাঁট—এই দ্বৈত পদক্ষেপ আমেরিকার ভবিষ্যৎ অর্থনীতি ও রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে নিঃসন্দেহে।