ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Suvendu on Kashmir : “মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না” বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে মমতার উল্টো সুর শুভেন্দুর, “ওমর আবদুল্লাহ আসায় বিজেপির এত অস্বস্তি কেন?” পাল্টা জবাব শশী পাঁজা

Suvendu on Kashmir : “মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না” বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে মমতার উল্টো সুর শুভেন্দুর, “ওমর আবদুল্লাহ আসায় বিজেপির এত অস্বস্তি কেন?” পাল্টা জবাব শশী পাঁজা

শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন। কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। কোনও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না – এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালিদের কাশ্মীর ভ্রমণে যাওয়ার বার্তা....

Suvendu on Kashmir : “মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না” বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে মমতার উল্টো সুর শুভেন্দুর, “ওমর আবদুল্লাহ আসায় বিজেপির এত অস্বস্তি কেন?” পাল্টা জবাব শশী পাঁজা

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Suvendu on Kashmir : “মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না” বাঙালি পর্যটকদের কাশ্মীর ভ্রমণ নিয়ে মমতার উল্টো সুর শুভেন্দুর, “ওমর আবদুল্লাহ আসায় বিজেপির এত অস্বস্তি কেন?” পাল্টা জবাব শশী পাঁজা

শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন। কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। কোনও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না –....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।

কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। কোনও মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না – এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালিদের কাশ্মীর ভ্রমণে যাওয়ার বার্তা দেওয়ার পরই এহেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। এই আবহে সেই আতঙ্ক দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। রাজ্য সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে ভূস্বর্গ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। বাঙালিদেরও কাশ্মীরে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর পর তিনি কাশ্মীর ভ্রমণে যাবেন। এমনকি সমস্ত বাঙালিদের কাশ্মীর যেতে উৎসাহিত করেছেন তিনি। মমতা বলেন, “সকলেরই কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়া উচিত। দুর্গাপুজোর পর আমিও কাশ্মীর যাব। কেন্দ্র এবং ওমর আবদুল্লা আমাকে নিরাপত্তা দেবে”। পাশাপাশি, তিনি বাংলার সিনেমা শুটিংয়ের জন্য কাশ্মীরকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া কাশ্মীরি শিল্পীদের বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এরপরই পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “কোনও বাঙালি কাশ্মীর যাবেন না। যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে যাবেন না”। শুভেন্দুর দাবি, “একজন বিধায়ক নয়, সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, কাশ্মীরের বদলে জম্মু যান। হিমাচল প্রদেশে যান। উত্তরাখণ্ডে যান। ওড়িশা যান। প্রাণ আগে। সন্তানদের জীবন বাঁচান। নিজের জীবনরক্ষা করুন। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন না”।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানুষকে কাশ্মীর যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন, সেখানে তাঁর দলের বাংলার নেতা বাঙালীদের কাশ্মীর যেতে বারণ করছেন।
বাংলার পর্যটকদের কাশ্মীর না যাওয়ার বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘বিরোধী দলনেতার কথায় কিছু যায় আসে না।’ এই মন্তব্য করে তিনি এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শশী পাঁজা। তিনি তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “পর্যটকদের কাশ্মীরে যেতে নিষেধ করছেন বিরোধী দলনেতা। তবে তাঁর কথায় কিছু এসে যায় না।” দলের অবস্থান স্পষ্ট করে শশী পাঁজা বলেন, যেখানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিরাপদ ও স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে এহেন মন্তব্য মোটেই ঠিক নয়। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই করা হচ্ছে কিনা। শশী বলেন, “বিজেপি নেতারা এখন ভাবেন, তাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।”
বিরোধী দলনেতার তুলোধনা করে শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বাংলায় এসেছেন, তাতে বিজেপি-র এত অস্বস্তি হচ্ছে কেন?” এই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

আজকের খবর