রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
সোদপুর পর্নকাণ্ডে আলিপুর থেকে গ্রেপ্তার শ্বেতা ওরফে ফুলটুসি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শ্বেতার ফোন নম্বর ট্র্যাক করেই খোঁজ মিলেছে। বুধবার রাত আটটা নাগাদ আলিপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার শ্বেতা খান(Sweta Khan) ওরফে ফুলটুসি বেগমকে হাওড়া আদালতে(Howrah Court) পেশ করবে পুলিশ।
সকালেই গ্রেপ্তার হয় সোদপুরের তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্যতম অভিযুক্ত আরিয়ান খান।
বুধবার দুপুরে গল্ফগ্রিন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং ডোমজুড় থানা যৌথভাবে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত আরিয়ানকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আরিয়ানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার জোর করে আটকে রাখা, মারধর, শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আরিয়ান খান(Ariyan Khan) ও তার মা শ্বেতা খানের খোঁজে কয়েকদিন ধরেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মোবাইলের সূত্র ধরে আরিয়ানের হদিশ মেলে। তারপরেই তাকে কলকাতা পুলিশের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সকালেই আটক করা হয়েছিল আরিয়ানের দিদা তথা শ্বেতার মাকে। তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে আরিয়ানের সহযোগী জোয়াকেও। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরিয়ান পুলিশের জালে এলেও, জোরকদমে খোঁজ চলছিল তার মা ফুলটুসি, অর্থাৎ এই গোটা ঘটনার মূল অভিযুক্তর। সূত্রের খবর, পলাতক অবস্থায় ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে যগাযোগ রাখছিল ফুলটুসি। ছেলে পুলিশের জালে আসতেই, তার পুলিশের পক্ষে ফুলটুসির অবস্থান খুঁজে পাওয়া অনেকটা সহজ হয়।
সোদপুরের নির্যাতিতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই সামনে এসেছে ফুলটুসি-তার ছেলে-মেয়েদের চক্র।
বড় প্রোডাকশন হাউসে কাজ দেওয়ার নাম করে তরুণীদের টোপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তারপরে তাঁদের দিয়ে সেক্স র্যাকেট চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হত। তেমনই সোদপুরে তরুণীকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজি না হওয়ায় অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। বর্তমানে সাগর দত্ত হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ওই তরুণী। তাঁর শরীরের অবস্থা খুব খারাপ বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের ধারণা ছিল কলকাতার বাইরে যায়নি শ্বেতা খান। শহরের কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। ছেলে আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্ত শ্বেতার খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ। সেই খোঁজ মিলল বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে (Alipur)। সেখান থেকেই গ্রেফতার হল শ্বেতা খান।