সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
ডায়মন্ড হারবার মডেল। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণের সময় যে ডায়মন্ডহারবার মডেল গোটা দেশের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠেছিল আরো একবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরিসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশ জুড়ে নজির তৈরি করল সেই ডায়মন্ডহারবার মডেল।
আজ বুধবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ফল দেয় এসে সেবাশ্রয় শিবিরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখলেন এলাকার সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেবাশ্রয় শিবিরের সাফল্য প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “ফলতায় আজ চতুর্থ দিন। কালকেও তেরো হাজারের উপর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। গড়ে তিনশো-সাড়ে তিনশো মানুষ রোজ আসছেন। আরামবাগ থেকে একটি শিশু দুদিন আগে এসেছিল। ও ঠিক মতো শুনতে পায় না। তারপর জানা যায় তার বাড়ি খানাকূলে। অর্থাৎ শুধু ডায়মন্ড হারবার লোকসভা নয়, পাশ্ববর্তী লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভারও লোক আসছে আমায় জানানো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকেও এসেছে। আমি চিকিৎসক টিমের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব পাশে দাঁড়াতে। যদি না পারি সেটাও বলে দেব। এর মধ্যে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভায় সেই চল্লিশটি ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে। আজ থেকে ফলতায় ক্যাম্প শুরু হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন অভিষেক। ক্যাম্পের শেষ দিন আশি হাজার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। একটা বিধানসভায় এত মানুষ হয়ত ভোট দিতেও বের হন না।
ককলিয়ার ইমপ্লান্টের কেস এসেছে। একটা ইমপ্লান্টে পাওয়া যায় যেটা ব্রেন আর কানের মধ্যে বসানো হয়। এই সার্জারি ১২ ঘণ্টা ধরে চলে। স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের আনিয়ে আমরা ছুটির দিন দেখে ব্যবস্থা করব। আমি সেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ককলিয়ার ইমপ্লান্টের ব্যবস্থা করব। বাচ্চাটা যাতে শুনতে পায় চেষ্টা করব। আরামবাগ থেকে তিন বছরের বাচ্চা এসেছে। ও হাঁটতে পারে না। ঠিক মতো দাঁড়াতে পারে না। স্পাইনালকর্ডে সমস্যা আছে। বছরে ৭২ লক্ষ টাকার ইঞ্জেকশন লাগবে এক বেসরকারি হাসপাতাল বলেছে। ওই বাচ্চাটার ফিজিওথেরাপির জন্য ব্যবস্থা করেছি। আট দশদিন ফিজিওথেরাপি চলবে। ওর মা-বাবার থাকার ব্যবস্থা করেছি। ডাক্তার জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে মিল আছে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আমার সামর্থ্য মতো করছি। রাজ্য সরকার চোদ্দ বছর ধরে কাজ করছে। কোথাও একটা ঘটনা ঘটলে দুঃখজনক। রাজ্য সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি সিবিআই অফিস থেকে বেরনোর সময় বলেছিলাম এদের হল জটায়ুর তদন্ত। ওরা আগে থেকে ধরে নেয় কাকে ফাঁসাতে হবে। তারপর তদন্ত করে। আর আমাদের তদন্ত তদন্তের মতো চলে।”