কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
‘সাগরদিঘি মডেল’! রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল নিয়ে ফের সরব শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমার নাম করে লিখে রাখুন, সাধারণ নির্বাচনে নৈহাটি, মেদিনীপুর, তালড্যাংরায় এবং মাদারিহাট বিজেপি জিতবে। সিতাইয়ে ৪০ শতাংশ মুসলাম, ও সিট বিজেপি পাবে না। ৮০ শতাংশ মুসলমান বাস করেন হাড়োয়া, পাবে না’।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের নন্দনায়েক বাড়ে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গলদ বেশি, পশ্চিমবঙ্গের মতো এমন কঠিন রাজ্যে পূর্ণসময়ের সভাপতি নেই – সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এগুলো সংগঠনের বিষয় এই নিয়ে আমি মুখ খুলবো না।” দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “আমি জানতাম ছটাতেই হারবো। এই নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে কারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।” সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি একসময়ের রাজ্য সভাপতি ছিলেন উনার নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।” রাজ্যের ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপির হার নিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমান যা রাজ্যের পরিস্থিতি তাতে পুলিশ পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে পাশাপাশি একাধিক প্রকল্প বাদ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। সাগরদিঘিতে নির্বাচনে তৃণমূল হারার পরে ৬ মাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই উপনির্বাচনে গ্রামীণ এলাকায় পুলিসের লোকেরা, ভিলেজ পুলিস, সিভিক পুলিস ও ওসি-আইসিরা গিয়ে বলেছে সাগরদিঘি মডেল। আবাস যোজনা যে বাড়ির তালিকা, ওই বুথকে বাদ দেওয়া হবে।” তাঁর কথায়, “উপনির্বাচনের ফল সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে মেলে না। যে ছ’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে নৈহাটি, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুরে আমরা ২০২৬ সালের নির্বাচনে জিতব। সিতাই আর হাড়োয়ায় পারব না। কারণ সিতাইয়ে মুসলিম ভোট ৪০ শতাংশ আর হাড়োয়ায় ৮০ শতাংশ।” বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ‘ভারতীয় মুসলমান বলছি না, প্রায় ১ কোটি রোহিঙ্গা মুসলমান পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে জনবিন্যাস বদলে দিয়েছে।
এর আগে, গতকাল শনিবার ফল বেরনোর পর শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘বাংলায় উপনির্বাচনে ভোটই হয় না। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি! নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চা করতে হবে এবার থেকে। সবসময়ে রাস্তায় থাকতে হবে’।