শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“হিম্মত থাকলে আগে বালি, কয়লা, গরু পাচার বন্ধ করুন। অপরাধ তো উনি ওদের দিয়ে করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝেড়ে ফেলেন।” এভাবেই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতি দৌরাত্ম নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে দায় চাপালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বাংলায় সীমান্ত বেরিয়ে অনুপ্রবেশের জন্য বিএসএফ এর উপরে আজ দুপুরেই দায় চাপিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিসের ডিজির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। আর তারাই অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে বড় চিঠি লিখব। আগেও বারবার কেন্দ্রকে এনিয়ে আমি বলেছি।”
তার প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “ভারতের সেনা, আধা সেনাদের উনি বরাবরই অপমান করেন। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যাশন। পুলিস তো ছাড়, পুর প্রশাসনও তোলা তোলে। মালদহ এর নেতা খুন হলেন। পুলিস দফতর তো আপনার হাতে। পুলিস ভেরিফিকেশন হয় পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে। কি করে এটা হয়? উনি কেবল স্টেটমেন্ট দেন।”
বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সম্প্রতি পেশ কয়েকজন জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “জঙ্গি তো এই রাজ্যে ধরা পড়ছে। অমিত শাহ কি করবেন সেটা আপনি ছেড়ে দিন। এই ইস্যু তে রাস্তায় নামুন। নাটক করবেন না। বিহার, ইউপি থেকে নাকি গুন্ডা আসছে বলছে ববি হাকিম। ঢুকছে কি করে? সাহস পাচ্ছে কি করে? বিজেপির সরকার যেখানে আছে করার দম নেই। উনি আগে ওঁনার দফতর এর কাজে মন দিন। প্রতি বছর ঘাটালে বন্যা হবে। এরা ফটো তোলার সরকার। বীরভূম নিয়ে এখন দুঃখ এর কারণ আছে। বালি পাচার হচ্ছে, উনি ভাগ পাচ্ছেন না। কাজল শেখ বোধহয় ঠিক মত ভাগ দিচ্ছেনা। গোপী বল্লভ পুরে তো পুরোটাই বালি পাচার। উনি কি করছেন? জানেন না!”