সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
নিয়ম অনুযায়ী সর্বদলীয় বৈঠক। কিন্তু অনুপস্থিত প্রধান বিরোধী দল অথবা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই নিয়ে এবারে বাংলার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, “বিরোধী দলের নেতারা আসেন না অধ্যক্ষের ডাকা বৈঠকে। ওদের কিছু বলার থাকলে এখানে এসে বলতে পারত। ওরা বৈঠকে না এসে নানা কথা বলে।”
আগামী সোমবার থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে এই অধিবেশন সূচনা হবে। এবারের অধিবেশন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টেয় মোশন অফ থ্যাঙ্কস নিয়ে আলোচনা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকেল ৪টেয় রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে। ১৩ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের ভাষণের ওপরে আলোচনা চলবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাজেটের ওপর বিস্তারিত আলোচনা হবে, এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দফাওয়াড়ি গ্রান্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বাজেট পেশের পর এটি স্ক্রুটিনি করা হবে এবং ১০ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে।
অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া সত্বেও একাধিক বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপালকে আবার চিঠি দিয়েছি। যে বিল আটকে আছে। সেগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিছু বিল উনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। তবে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির কিছু রেকমেন্ড থাকলে জানাতে পারেন বিধানসভায়। তাহলে সেটা নিয়ে কথা হতে পারে। বাকি থাকা বিল বা পেন্ডিং বিলের তালিকা দিয়েছি। রাজ্যপাল বলেন বিল পেন্ডিং নেই। কিন্তু বাস্তব সেটা নয়। অপরাজিতা বিল দ্রুত ছাড়া উচিত ছিল। বিল ফেরত পাঠালে সেটা নিয়ে পুনরায় আলোচনা হয়। সেই রেকমেন্ডশান নিয়ে আলোচনা হলে সেটাকে আর আটকানো যায় না।”

গতবার বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাজ্যের যুক্তি ছিল, আলাদা কোনও অধিবেশন নয়। চলতি অধিবেশনে যেহেতু বাজেট পেশ করা হচ্ছে, সেকারণেই রাজ্যপাল আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এবার রীতিমাফিক রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন।