সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই সময় থাকতে থাকতেই দলের সাংগঠনিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য চলতি সপ্তাহেই ২৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সম্মেলনে তৃণমূলের পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। শাসকদলের রাজ্য সম্মেলনে প্রধান বক্তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সম্মেলন থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের সুর মমতা বেঁধে দেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গতকাল তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলনের দিন ঘোষণার পর কালীঘাটে আলোচনায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি লিখেছেন, ‘যিনি লড়াইয়ের ইচ্ছা রাখবেন, তাঁর প্রথমে কী কী মূল্য চোকাতে হতে পারে, তার হিসেব করে নেওয়া দরকার।’ কাদের উদ্দেশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এই বার্তা দিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলনের ঠিক আগে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অভিষেকের এই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে নবীন বিরোধী হাওয়া বইছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তৃণমূলে প্রবীণ নেতাদের নিজেদের জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে নবীন যুব নেতাদের সেই জায়গায় আনার পক্ষে বারে বারে প্রকাশ্যে বার্তা দিয়েছেন তা বারেবারে খারিজ করে দিয়েছেন মমতা নিজে। এবারেও যখন তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে রদবদল আসন্ন সেই সময়ে অভিষেকের এই সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, যাঁদের উদ্দেশেই এই বার্তা হোক না কেন, তৃণমূলের রাজ্য সম্মেলনের আগে অভিষেকের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আবার অনেকে এই পোস্টকে নবীন-প্রবীণদের উদ্দেশে বার্তা বলে ব্যাখ্যা করছেন। এখন দেখার কোনদিকে গড়ায় বিষয়টি।