সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বিতর্ক এবং অস্থিরতা ঘিরে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবার নিজের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল। ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রেঙ্কিংয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৭২১-৭৩০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে, যা গত বছরের ৭৪১-৭৫০ র্যাঙ্কের তুলনায় একধাপ উন্নতি। ১২ মার্চ প্রকাশিত এই তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে এমআইটি (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি), এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটেনের ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক স্কোর ৯৬.৮। রয়েছে চতুর্থ স্থানে। এই তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কম্পিউটার সায়েন্সে আইআইটি খড়্গপুর রয়েছে একেবারে ৬০ নম্বরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র্যাগিংয়ের অভিযোগ, এবং সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষামন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, সেসবের মাঝে এই সাফল্য যাদবপুরের জন্য এক অনন্য অর্জন। অন্যদিকে ভারতের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকায় চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় বা পুণে বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। কলকাতা রয়েছে ৭৫১-৭৬০ নম্বরে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে ঘটছে না বিতর্ক। নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে লেখা আজাদ কাশ্মীরের পোস্টার ঘিরে। 1 মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের ঘটনার পর থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে এর মাঝেও শিক্ষার দিক থেকে নিজের জায়গায় অটুট থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু প্রতিকূলতাকে ছাড়া যাদবপুরের এই লড়াই ফেলনা নয়। সেই দিকগুলিতে নজর না-দিয়ে কিছু মহল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় রয়েছে।”
বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই স্থায়ী উপাচার্য। নেই স্থায়ী রেজিস্ট্রার। একাধিক পদ ফাঁকা রয়েছে যাদবপুরের মতো শহরের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি জুটার মতে, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে 100 কোটি টাকার ঘাটতি চলছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দরকারি কাজ, পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশকিছু কাজ, গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হওয়া একাধিক দামি যন্ত্র পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।