শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
সুপার নিউমেরারি পদে আর নিয়োগ নয়! কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ বহাল রাখলো। মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি স্মিতা দাস দে এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।
কলকাতা হইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গেল বেঞ্চ সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল মামলাকারী।
এই পদে নিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমতি থাকলেও আদালত জানায়, নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় এই পদে আপাতত কোনও নিয়োগ করা যাবে না। আদালতের এই নির্দেশের ফলে চাকরিপ্রার্থীরা নতুন ধাক্কায় পড়েছেন, যাঁরা দু’বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। মামলাকারীরা এবং তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে চাকরিপ্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন এবং স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া উচিত।
শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবী পার্থসারথী সেনগুপ্ত বলেন, “দু’বছর হয়ে গেল চাকরিপার্থীরা বসে আছে। নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হলে অনেকের চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন।” মন্ত্রীসভার অনুমতি নিয়েই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলে যুক্তি দেন চাকরীপ্রার্থীদের আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচর্য। তিনি বলেন, এটা একটা দুর্নীতি। সাংবিধানিক আদালতে তার বিচার চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও এই বিচারের বিরোধিতা করেনি।
তার পরে সিঙ্গেল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ বহাল রাখার কথা জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা প্রশ্ন তুলেছেন, যদি পরে দেখা যায় এই পদ তৈরি করাই অনৈতিক বা অবৈধ ছিল, তাহলে নিয়োগ করলে আরও সমস্যার সৃষ্টি হবে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ জুন সিঙ্গল বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। মামলাকারীর আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন যে যারা মামলা করেছে তারা হয়তো পাশ হয়নি, তাই এই মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অন্যদিকে, সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করাটাই নীতি-বিরুদ্ধ এবং শূন্যপদের সঠিক সংখ্যা আগে জানানো জরুরি-এটাই নিয়ম। এই বিবাদের কারণে এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া একাধিকবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বড় আশঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।