ব্রেকিং
  • Home /
  • কলকাতা /
  • Jobless teachers movement : মৃত্যু চাকরিহারা এক শিক্ষকের, “পরীক্ষা দেব না” দাবিতে শুক্রবার অর্ধনগ্ন মিছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের

Jobless teachers movement : মৃত্যু চাকরিহারা এক শিক্ষকের, “পরীক্ষা দেব না” দাবিতে শুক্রবার অর্ধনগ্ন মিছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন। সুপ্রিম কোর্টে মামলার টানাপোড়েনের মধ্যে মৃত্যু হল চাকরি হারা এক শিক্ষকের। চাকরিহারাদের পক্ষে চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন এক শিক্ষকের মৃত্যু সংবাদের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষক দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। তিনি জিয়াগঞ্জের একজন শিক্ষক। ইংরেজির....

Jobless teachers movement : মৃত্যু চাকরিহারা এক শিক্ষকের, “পরীক্ষা দেব না” দাবিতে শুক্রবার অর্ধনগ্ন মিছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের

  • Home /
  • কলকাতা /
  • Jobless teachers movement : মৃত্যু চাকরিহারা এক শিক্ষকের, “পরীক্ষা দেব না” দাবিতে শুক্রবার অর্ধনগ্ন মিছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন। সুপ্রিম কোর্টে মামলার টানাপোড়েনের মধ্যে মৃত্যু হল চাকরি হারা এক শিক্ষকের। চাকরিহারাদের....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার টানাপোড়েনের মধ্যে মৃত্যু হল চাকরি হারা এক শিক্ষকের। চাকরিহারাদের পক্ষে চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন এক শিক্ষকের মৃত্যু সংবাদের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষক দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। তিনি জিয়াগঞ্জের একজন শিক্ষক। ইংরেজির শিক্ষক। তিনি পরলোকগমন করেছেন। তিনি আমাদের একজন সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি অবশ্যই রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তিনি দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন। প্যানেলটা বাতিল হয়েছে ও দুর্নীতির কারণে চাকরিটা গিয়েছে। তিনি আর সহ্য করতে পারেননি।

এরপরই শুক্রবার রাজপথে অর্ধনগ্ন মিছিল বের করার হুঁশিয়ারি দিলেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা। চাকরিহারাদের পক্ষে চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “আমরা এটা জানাতে পারি যে মুখ্য়মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে দুদিন আগে ঘোষণা করেছেন যে নতুন পরীক্ষা হবে। … একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানেন যে কত বড় দুর্নীতি হয়েছে যার জন্য আমাদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। ঘুমোতে হচ্ছে। কোর্টের দরজা খটখট করতে হচ্ছে । …আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে যোগ্যদের পুনরায় বহাল করা যায় এই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। ১০ বছর পরে এসে সেই মানসিক অবস্থা থাকে না যে স্কুলের বাচ্চাদের পড়ানোর বিষয়বস্তু একরকম আর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার বিষয়বস্তু অন্যরকম। সেটা সবাই পারবে এমনটা নয়। কারোর বয়স হয়েছে। কেউ হার্টের রোগে আক্রান্ত। অনেকে আছে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবেন! তাঁরা যদি পরীক্ষার দিন হাজির থাকতে না পারেন তাহলে চাকরির কী হবে? তার দায় কে নেবে! আমরা দেখতে পাচ্ছি মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যারা চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবে না, যাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাদের অন্য বিভাগে চাকরি দেওয়া হবে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের নিশ্চয়তা এল। আর আমরা যারা যোগ্য আমরা অনিশ্চয়তার অন্ধকারে থাকলাম। এমন এক রাজ্যে বাস করছি যেখানে টাকা দিয়ে চাকরিপাওয়াদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সহৃদয় হয়ে যাচ্ছেন আর যারা যোগ্য ২৪০ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করেছিলাম বলে অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই রাখা হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে কাল ৩০ শে মে শিয়ালদা থেকে মহামিছিল করব। দাবি থাকবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। পরীক্ষায় বসা নয়, পরীক্ষা ছাড়া যোগ্য যারা তাদের চাকরিতে পুনরায় বহাল করা যায় তার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কমিশন নেবে, রাজ্য সরকার নেবে, কালকের মিছিল হবে অর্ধনগ্ন মিছিল। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় মিছিল করবেন। তার একটাই কারণ সরকারের দুর্নীতি, কমিশনের দুর্নীতি, এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে, যোগ্য চাকরিহারাদের আজকে নগ্ন করে ছেড়ে দিয়েছে। ন্যায্য বিচার পাইনি। একজনও যদি বঞ্চিত হয় তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব।”

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ ছ’জন শিক্ষিকা কালীঘাটে পৌঁছোন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে বলেছিলেন প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন শিক্ষিকারা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিপত্র না থাকায় তাঁদেরকে আটকায় কালীঘাট থানার পুলিশ। পরে ছ’জন শিক্ষিকাকে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ছয় শিক্ষিকার নাম সঙ্গীতা সাহা, রূপা কর্মকার, স্মার্তি রায়, নুর আমিনা গুলশন, শিল্পী চক্রবর্তী এবং সাহানি নাজনিন। কেন এসেছেন? প্রশ্নের উত্তরে চাকরিহারা সঙ্গীতা বলেন, ”আমরা কোনও আন্দোলন বা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে আসিনি। আমরা জানতে এসেছিলাম, ১০ বছর সম্মানের সঙ্গে চাকরি করার পরেও পরীক্ষা দেওয়া কী ভাবে সম্ভব?” তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়নি তাঁদের। এখনও থানাতেই আটক রয়েছেন তাঁরা।

মঙ্গলবার চাকরিহারাদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ”পরীক্ষা দেব না— এখনই বলা উচিত নয়। তা হলে চাকরিটাই থাকবে না। সরকারের দু’টি পথই কাজে লাগান। রিভিউ করে বিচার না পেলে চাকরি ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। পরীক্ষায় বসুন। মর্যাদার সঙ্গে সসম্মানে ফিরে আসুন। সুযোগ আসবে, সদ্ব্যবহার করুন।”

মমতা এ-ও বলেন, ”রিভিউ পিটিশনের পথও খোলা থাকছে। সেই আবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হলে তা-ই মানবে সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি আর একটি রাস্তা। গরমের ছুটির পরে রিভিউ পিটিশন ফের সুপ্রিম কোর্টে উঠবে। আমরা চেষ্টা করব যাতে চাকরিরত শিক্ষকদের আর পরীক্ষায় বসতে না হয়।” মুখ্যমন্ত্রী এ ভাবে পরীক্ষায় বসার আবেদন করায় অসন্তুষ্ট চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে নেতাজি ইন্ডোরে যে কথা বলেছিলেন, তার সঙ্গে মঙ্গলবার নবান্নে বলা তাঁর কথায় ফারাক রয়েছে। এর পরেই ফের প্রতিবাদ শুরু করেন চাকরিহারারা।

 

আজকের খবর