শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক দ্বিগুণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদেশ থেকে এই ধাতু আমদানি করলে আজ থেকে গুণতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। মার্কিন সংস্থাগুলির স্বার্থরক্ষার উদ্দেশে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে দাবি করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের পরই স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম সংক্রান্ত একাধিক সংস্থায় শেয়ারে ব্যাপক রক্তক্ষরণ চোখে পড়ে।
গত ৩০ মে পেনশিলভেনিয়া সফরে গিয়ে স্টিল কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই ঘোষণা করেন দেশে স্টিল আমদানির উপর শুল্ক দ্বিগুণ করবেন তিনি। এরপরই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ-এ তিনি ঘোষণা করেন স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক বসানো হবে ৫০ শতাংশ। নয়া এই নীতি লাগু করা হবে ৪ জুন থেকে। তবে বাকি দেশের জন্য এই পণ্যের আমদানি শুল্ক ৫০ শতাংশ হলেও, গতমাসে সাক্ষরিত হওয়া মার্কিন-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তির জেরে ব্রিটেনের ক্ষেত্রে এই শুল্ক থাকবে ২৫ শতাংশ।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এহেন পদক্ষেপের জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারতের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের বাজার। ভারতীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের একটি বড় অংশ রপ্তানি করা হয় আমেরিকায়। যার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পরদিনই গত সোমবার দেশের স্টিল সেক্টরে বড় ধাক্কা দেখা যায়, ভারতীয় সংস্থা জেএসডব্লু স্টিল, সেল, টাটা স্টিল, বেদান্ত-সহ একাধিক সংস্থার শেয়ার নিচের দিকে নামতে শুরু করে। এছাড়া অটোমোবাইল-সহ অন্যান্য সংস্থা যাঁদের পণ্য প্রস্তুতে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার হয়, সেই সেক্টর গুলিতেও পতন দেখা যায়। সোমবারের পর বুধবারও এই সংস্থাগুলির শেয়ারে বিশেষ অগ্রগতি চোখে পড়েনি।
জানা যাচ্ছে, আমেরিকার চিন নির্ভরতা কমাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। এই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমরা চাই না যে আমেরিকার ভবিষ্যত সাংহাইয়ের নিম্নমানের ইস্পাত দিয়ে তৈরি হোক। বরং আমরা চাই পিটসবার্গের শক্তি এবং গর্বের সাথে গড়ে উঠুক আমেরিকা।’ যদিও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই পদক্ষেপের নিন্দা করার পাশাপাশি আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ মূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।