বিতস্তা সেন। কলকাতা সারাদিন।
হাওড়া জেলার যেকটি প্রাচীন পারিবারিক পুজো আছে তার মধ্যে একটি হল উদয়নারায়নপুরের দেবীপুরের দত্ত বাড়ির পুজো অন্যতম।
৪০০ বছরের ও বেশী এই প্রাচীন পারিবারিক পুজো এখনোও প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করছে। জানা যায় আনুমানিক ৪০০ বছর আগে বর্ধমান রাজ কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ভবানী চরন দত্ত রাজার দেওয়া অষ্ট ধাতুর দুর্গা, কষ্ঠী পাথরের কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর রাধা মূর্তি উদয়নারায়নপুরের দেবীপুরের দত্ত বাড়িতে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গা পুজোর সূচনা করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি বাড়িতে দেব দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এমনকি দুর্গা পুজোর জন্য পৃথক নাট মন্দির ও প্রতিষ্ঠা করেন।
দত্ত পরিবার সূত্রে খবর সারা বছর দেবী দুর্গার পাশাপাশি রাধা কৃষ্ণের ও নিত্যসেবা হয়। পরিবারের সদস্য স্বরূপ দত্ত জানান সপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দুর্গা মন্দির থেকে দেবী মূ্র্তিকে নাট মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সপ্তমী অষ্টমী নবমীর পর দশমীর দিন যথা নিয়মে পুনরায় আবার মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বরূপ দত্ত জানান পুজোর তিনদিন পাঁঠা বলির পাশাপাশি সন্ধি পুজোয় কালো পাঁঠা বলি দেওয়ার রীতি এখনোও চালু আছে। তিনি জানান ৭০ বছর আগে রাজার দেওয়া দেবী মূর্তি চুরি হয়ে যাওয়ার পর বেনারস থেকে নতুন অষ্টধাতুর মূর্তি আনা হয়। যেটা আজ ও পুজো করা হয়।

স্বরূপবাবু জানান দশমীর দিন পরিবারের গৃহবধূরা সিঁদুর ও কাদামাটি খেলার পাশাপাশি ঘট বির্সজন করা হয়। পরে রাতে কর্মসূত্রে যারা বাইরে থাকেন এবং পুজোর সময় বাড়িতে আসেন তাদের নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া হয়।