সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন প্রজতন্ত্র দিবস। কয়েকদিনের মধ্যেই ধুমধাম করে দেশ জুড়ে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস।
২৬ জানুয়ারি দিনটি কেন উদযাপন করা হয় জানেন?
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল ভারত। তবে তখনও ভারতের কোনও সংবিধান সক্রিয় ছিল না। পরবর্তী ১৯৪৭ সালে ২৯ অগাস্ট ডঃ বি আর আম্বেদকরকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে গঠন করা হয় একটি খসড়া কমিটি। সংবিধান তৈরির জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানের একটি আনুষ্ঠানিক খসড়া পেশ করা হয় গণপরিষদে।
১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সেই সংবিধান গৃহীত হয় চূড়ান্ত ভাবে। সংবিধান গৃহীত হলেও আগামী দুই দিনের জন্য কার্যকর হয় না সেই সংবিধান। ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে বাস্তবায়িত হয় ভারতের সংবিধান। এটি ছিল নতুন প্রজাতন্ত্রের প্রাণ, একটি গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো। সংবিধানটি ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে কার্যকর করা হয়, গড়ে ওঠে সার্বভৌম গণ-প্রজাতান্ত্রিক ভারত। অর্থাৎ এই দিন থেকে সংবিধান ভারতকে একটি সার্বভৌমিক প্রজাতন্ত্রে পরিবর্তন করে। প্রজাতন্ত্র দিবস স্মরণ করে স্বাধীন ভারতের চেতনাকে। ভারত ভূখণ্ড একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় পায় এই দিন থেকে। ১৯৩০ সালে এই দিনেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ঔপনিবেশিক শাসন থেকে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণা করেছিল। তাই এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয় সংবিধান কার্যকর করার জন্য দিন হিসেবেও।
অতি উৎসাহের সঙ্গে দেশে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। এই দিনে বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়াও বিশেষ এই দিনে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দেশের মধ্যে যোগ্য নাগরিকদের পদ্ম পুরস্কারের ভূষিত করেন। সাহসী সৈন্যদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি।