সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
২ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার পর মাত্র এক মাসে, সেবাশ্রয় ডায়মণ্ড হারবারে স্বাস্থ্যসেবার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করল। যেখানে সেবাশ্রয় শিবিরে প্রায় ৫.৫ লক্ষ মানুষ এই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা ও জীবনদায়ী চিকিৎসা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
অনেকের কাছেই সেবাশ্রয় কেবল একটি স্বাস্থ্যসেবা নয়, এটা এক আশার আলো হয়ে উঠেছে। এমনই একজন উপকৃত হয়েছে, ৯ বছরের শিশু আলতাফ – যে সম্প্রতি জেআইএমএস হাসপাতালে একটি বিশেষ হার্ট সার্জারি করিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তার পরিবারের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার ফলো-আপ চেকআপ করার ব্যবস্থাও করেছে সেবাশ্রয়।
একইভাবে, মোটর নিউরন ডিজিজ এসএমএ টাইপ ৩-এ আক্রান্ত নেহা মাজী-র জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর নিমহানস-এ এক পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্টের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সময় পর্যন্ত সে সেবাশ্রয়ের মাধ্যমে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি পাচ্ছে। তার পরিবারকেও সবরকম সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা ও এখানকার একজন চিকিৎসকের সঙ্গে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অন্যদিকে, কৃতি মান্না – যে শরীরের ডানদিকে অস্বাভাবিক গাঁটের সমস্যায় ভুগছিল, তাকে আর জি কর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি বিশেষ ইনজেকশন পেয়েছেন। তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা পরের মাসে হবে।
এছাড়াও, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মামুদা বিবি মোল্লাকে প্রতি মাসে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত সাথী নস্করের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে সিএমসি-তে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেবাশ্রয় শিবিরের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দুই ব্যক্তির ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক ব্যক্তির ছানি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা তাঁদের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।
সেবাশ্রয় শিবিরের বিপুল এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে অভিষেক ঘোষণা করেন, “এই কর্মসূচি অর্থাত্ সেবাশ্রয়, শেষ হওয়ার পরে জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, মার্চের মাঝামাঝি অর্থাত্ ১৫-১৬ তারিখ নাগাদ যদি শেষ হয়, আমরা পয়লা বৈশাখের আগে দরকার হলে ৫ হাজার ডাক্তারের কনভেনশন করব। এবং কলকাতার বুকে করব।”