পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক ব্লকের সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এর ধর্মসাগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে ধর্মসাগর গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র নাথ দাস এর দোতালা পাকা বাড়ি রয়েছে। এক মাত্র ছেলে ভিন রাজ্যে সোনার দোকানের কারিগর হিসাবে কাজ করে। ছেলে অবিবাহিত, বাড়িতে স্ত্রী কে নিয়ে থাকেন। ওই ব্যক্তির দোতালা পাকা বাড়ির সামনে একটি মাটির বাড়ি রয়েছে।
সেই মাটির বাড়িতে বসবাস করে এবং ছেলে তাদের দেখে না পাঁচ বছর ধরে বলে ভুল তথ্য দিয়ে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে।তার একাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে, নতুন করে আরেকটি পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছেলে বাইরে সোনার কাজ করে এখনো বিয়ে করেনি মাঝেমধ্যে বাড়ি আসে করে ছেলে উনাকে পাঁচ বছর দেখেনি বলে উনি অভিযোগ করেছেন, উনার অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা।
তাই ভুল তথ্য দিয়ে পাকা বাড়ি পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সোমা দোলুই বলেন যারা বাড়ির সার্ভে করেছিলেন তারা বিষয়টি বলতে পারবেন, বিষয়টি আমি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি।
অভিযোগ পাওয়ার পর দাসপুর এক ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস ধর্ম সাগর গ্রামে গিয়ে বিষয় টি ক্ষতিয়ে দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিও কে জানান দোতলা পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও কি করে বাংলা আবাস যোজনায় রবীন্দ্রনাথ দাসের নাম উঠলো। যার যারা সার্ভে করেছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে , এবং ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিতে হবে।
সেই সঙ্গে ভুল তথ্য দিয়ে বাড়ি নেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করার দাবী জানান এলাকার বাসিন্দারা। বি ডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস জানান সমস্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।