সুহানা বিশ্বাস।
ভাই শাহরুখ খানের ৬০ তম জন্মদিনে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্বের কোটি কোটি অনুরাগীর প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানের ৬০ বছরের জন্মদিন। ২ নভেম্বর যেন দেশজুড়ে বাদশা উৎসব। আর এমন দিনে ‘ভাই’ শাহরুখকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা দিতে ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কয়েক বছর আগে শাহরুখ খানকে রাখিও পরিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন থেকেই তিনি ভাই মানেন শাহরুখকে। এদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় তাঁর আরও উন্নতি কামনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একসময় শাহরুখ খান ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর৷ সেই হিসেবে শাহরুখের সঙ্গে দীর্ঘ ও গভীর সম্পর্ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ শাহরুখ তাঁকে দিদি বলে ডাকেন৷ সেই দিদি অর্থাৎ মমতা সুন্দর বার্তা-সহ সোশাল মিডিয়ায় শাহরুখকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন শাহরুখের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘আমার ভাই শাহরুখ খানকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা! আপনার অসাধারণ প্রতিভা এবং ক্যারিশমা দিয়ে আপনি ভারতীয় সিনেমাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলুন।’
এটি প্রথম নয়, মমতা আগেও প্রকাশ্যে শাহরুখের প্রতি তাঁর স্নেহ-ভালবাসা উজার করে দিয়েছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে ‘কিং’ ছবির শুটিং চলাকালীন শাহরুখের পেশিতে চোট লাগার খবর প্রকাশ পেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনও এক্স-এ তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার ভাই শাহরুখ খানের শুটিং চলাকালীন চোট পাওয়ার খবর শুনে চিন্তিত হয়েছি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
অন্যদিকে, প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মইনুল হক। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে টানা পাঁচবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ বছর সেখানকার বিধায়ক ছিলেন মইনুল হক। একসময় এআইসিসি-র সম্পাদকও ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। শনিবার রাত ৩টে নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ, রবিবার ফরাক্কার তিলডাঙায় হবে মইনুল হকের শেষকৃত্য। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম বিধায়ক আবুল হাসনাৎ খানকে হারিয়ে ফরাক্কায় জেতেন মইনুল হক। তারপর টানা ছ’বার এই আসনে তাঁকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। তার মধ্যে পাঁচবার জিতেছেন। কিন্তু ২০২১ সালে হেরে যান। গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের মনিরুল ইসলাম। এরপরে দলবদল করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ যোগ দেন তৃণমূলে।