শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ঝড় তুললেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ একান্ত বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সেখানে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে। পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও বিস্তর কথা হয় বলে জানা যাচ্ছে। এই সব শোনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া গিয়েছে। খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা-সহ অনেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। বুধবার মূলত সেই নিয়েই শাহী দরবারে পৌঁছন শুভেন্দু। এই সব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সূত্রের খবর, যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে বাংলায়। তাই প্রতিবেশী দেশ ও তা নিয়ে বাংলার বর্তমান অবস্থান ও পরিস্থিতি প্রসঙ্গেও কথা হয়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজি নেই বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, স্থায়ী ডিজি নিয়োগ করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রথমে তিনটি নাম পাঠাতে হয় রাজ্যকে। তারপর সেখান থেকে একজনকে নির্বাচন করে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম যথার্থভাবে মানা হয়নি। রাজীব কুমারকে তাই স্থায়ী ডিজি হিসেবে বিবেচনা করতে নারাজ বিরোধী দলনেতা।
অন্যদিকে, মহাকুম্ভের দুর্ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “প্রথমত, যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য আমার চিন্তা ও প্রার্থনা রয়েছে। মহাকুম্ভে মর্মান্তিক পদদলিত হয়ে যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আপনার দুঃখের অভিব্যক্তিটি শুরুতে অকৃত্রিম মনে হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের সাথে তুলনা করার বিষয়ে সূক্ষ্ম মন্তব্য আপনার কপট মনোভাব প্রকাশ করেছে।
মনে হচ্ছে আপনি দুঃখ প্রকাশ করার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। আপনার সদয় তথ্যের জন্য, ‘অমৃত স্নান’ বা ‘অমৃতস্নান’-এর মতো একদিনে ৫ কোটিরও বেশি লোকের সমাবেশের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা করার সুযোগ আপনার জীবনে নেই এবং হবেও না। মৌনী অমাবস্যায় পবিত্র ডুব একটি আনুষ্ঠানিক স্নান, মহা কুম্ভ মেলার অন্যতম পবিত্র ঘটনা বলে বিবেচিত হয়। এই বছর, বিরল ‘ত্রিবেণী যোগ’ স্বর্গীয় প্রান্তিককরণের কারণে আচারটি অতিরিক্ত তাৎপর্য ধারণ করেছে। প্রতি ১৪৪ বছরে এরকম একবার ঘটে। উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। এটা ‘আমিই সর্বোত্তম’ এরকম দেখানোর সময় নয়।”