তিলোত্তমার বিচারের জন্য মিছিলে প্রথম সারিতেই হেঁটেছিলেন তিনি। অথচ তাঁর বিরুদ্ধেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। আসানসোলের স্বনামধন্য চিকিৎসক রমন রাজের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল। আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ তাঁকে গতকাল আসানসোল থেকে গ্রেপ্তার করে। চিকিৎসক রমন রাজের পকসো আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক একদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। শুক্রবার পুনরায় তাকে কোর্টে তোলা হয়।
কলকাতায় আরজি কর কান্ডের এই রমন রাজকে দেখা গিয়েছিল মিছিলের প্রথম সারিতে। অনান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে রমন রাজের ভূমিকা ছিল অন্যতম। আসানসোলের বিশিষ্ট কার্ডিয়লজিস্ট ছিলেন। আসানসোলের বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত রমন রাজ। এছাড়াও নিজের বেশ কয়েকটি প্রাইভেট চেম্বারও রয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ১৫ নভেম্বর এক নাবালিকা তার ঠাকুমার সঙ্গে তার কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। ওই নাবালিকার ঠাকুমাকে চেম্বারের বাইরে রেখে চিকিৎসক ওই নাবালিকার সঙ্গে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই নাবালিকাকে তিনি ধর্ষণের চেষ্টাও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নাবালিকার পরিবার বিষয়টি জানার পরেই আসানসোল মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
বুধবার এই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়েরের পর বুধবারই অভিযুক্ত চিকিৎসক রমন রাজকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে চিকিৎসক রমন রাজকে তোলা হয়। পুলিশ পাঁচদিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করে। কিন্তু বিচারক একদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী মিতা মজুমদার জানিয়েছেন “অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়েছে। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ধর্ষণের চেষ্টা করারও মামলাও দেওয়া হয়েছে ওই চিকিৎসককে।”
আসানসোলের প্রথম সারির এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় স্তম্ভিত গোটা শহর। দীর্ঘদিন ধরেই তার চিকিৎসা দুনিয়ায় সুনাম ছিল। শুধু তাই নয় তিনি বেশ প্রভাবশালী চিকিৎসকও ছিলেন। । তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠায় কার্যত অবাক হয়েছে আসানসোলবাসীরা। শুক্রবার তাকে পূনরায় কোর্টে তোলা হয়।