সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
মাত্র ছয় বছরেই মোহভঙ্গ বিজেপিতে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পদ্মফুল থেকে জোড়া ফুলে ঝাঁপ দিলেন অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকেট কেটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করেছিলেন এই টলি তারকা। তবে তারপর থেকে বিজেপির কোনো নেতাই তাঁকে সেই ভাবে পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন অভিনেত্রী। কেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলেন পার্নো?
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি ছেড়ে অভিনেত্রীর শাসকদলে যোগদান নিয়ে আলোচনা টলিপাড়ায়। ইন্ডাস্ট্রি স্বাগত জানিয়েছে পার্নোর এই পদক্ষেপকে। আলোচনায় এমন কথা উঠে এসেছে, বাংলায় তারা কী চাইছে সেটাই নাকি এখনও স্থির করতে পারেনি বিরোধী শিবির। সেই দিক থেকে পার্নোর এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।

পার্নোর অভিনয়জীবন শুরু ২০০৭-এ। ছোটপর্দায় রবি ওঝার ‘খেলা’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু। বড়পর্দায় তাঁকে নিয়ে আসেন অঞ্জন দত্ত। ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির নায়িকা তিনি। অভিনেত্রীর ঝুলিতে ‘বেডরুম’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘রাজকাহিনী’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’, ‘অপুর পাঁচালি’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’-এর মতো ছবি। ২০১৯-এ পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। ওই বছরে বিজেপি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো একাধিক তারকাকে। ওই নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হন পার্নো।

নির্বাচনের আগে শাসকদলের বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে দোলযাত্রা উদ্যাপনে ‘নৌকাবিহার’ পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো। সেই ছবি সেই সময়ের রাজনীতি এবং টলিউডে আলোচনার বিষয় হয়েছিল। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিরোধী শিবিরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথাগত রায় তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন।