ব্রেকিং
  • Home /
  • বিজনেস /
  • ED Arrests Kolkata Industrialist : ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ইডির ১৫ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত কলকাতার ইস্পাত ব্যবসায়ী

ED Arrests Kolkata Industrialist : ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ইডির ১৫ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত কলকাতার ইস্পাত ব্যবসায়ী

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ৩৩০০ কোটি নয়, কাগুজে কো ম্পা নি খুলে ঋণের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ! এই অভিযোগে শহরের প্রভাবশালী ইস্পাত ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেখাকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টারও বেশি....

ED Arrests Kolkata Industrialist : ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ইডির ১৫ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত কলকাতার ইস্পাত ব্যবসায়ী

  • Home /
  • বিজনেস /
  • ED Arrests Kolkata Industrialist : ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে ইডির ১৫ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত কলকাতার ইস্পাত ব্যবসায়ী

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন। ৩৩০০ কোটি নয়, কাগুজে কো ম্পা নি খুলে ঋণের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

৩৩০০ কোটি নয়, কাগুজে কো ম্পা নি খুলে ঋণের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ! এই অভিযোগে শহরের প্রভাবশালী ইস্পাত ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেখাকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টারও বেশি জেরার পর বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা আত্মসাৎ ও তার সিংহভাগ বিদেশে পাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতার ম্যান্ডেভিল গার্ডেনের বাড়িতে ব্যবসায়ীকে জেরা পর্ব শেষে প্রতারণার টাকায় কেনা ৮টি বিলাসবহুল গাড়ি, সাড়ে চার কোটি টাকার হিরে, প্ল্যাটিনাম ও সোনার গয়না, সম্পত্তি সংক্রান্ত ১০০টি ডিড সহ অন্যান্য নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বুধবার বিচারভবনের ইডির বিশেষ আদালতে সঞ্জয় সুরেখাকে হাজির করে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতের আর্জি জানায় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘কোথায় কোথায় প্রতারণার টাকা পাচার করা হয়েছে, অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তা জানার চেষ্টা হবে। রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেনামে কী কী সম্পত্তি এই শিল্পপতি করে রেখেছেন, তাও খুঁজে বের করা হবে।’
তদন্তকারীরা দাবি করছেন, ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা (যার মধ্যে রাজ্য সরকারের ওয়েস্টবেঙ্গল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশনের কোটি কোটি টাকাও রয়েছে) থেকে যে বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নেওয়া হয়েছিল, তার সিংহভাগই (১১৪৭৪.৪৮ কোটি টাকা) দুবাই, থাইল্যান্ড, মরিশাস সহ পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশে পাচার করা হয়েছে।

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির এই মামলায় সঞ্জয় সুরেখার সংস্থা ‘মেসার্স কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড’-এর আরও তিন ডিরেক্টরকে জেরা করছে তদন্তকারী সংস্থা। আর কোনওরকম সিকিওরিটি ছাড়া কীভাবে বিপুল ঋণ মিলল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন আধিকারিককেও।
তদন্তকারীরা বলছেন, শিল্পপতি সঞ্জয় সুরেখার চারটি কারখানা রয়েছে। দু’টি এরাজ্যের সোদপুর এবং বাঁকুড়ায়। বাকি দু’টি ওড়িশার ঝাড়সুগদা ও অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে। এই কারখানাগুলিকে সামনে রেখে ২২টি ‘ভুয়ো’ কো ম্পা নির নামে গত ২০০৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৭’র নভেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় ওই বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন সুরেখা ও তাঁর সহযোগীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত এসবিআই সহ তাদের কনসর্টিয়ামের অন্তর্গত মোট ১২টি ব্যাঙ্ক থেকে কখনও লেটার অব ক্রেডিট, কখনও ক্যাশ ক্রেডিট ও টার্ম লোন বাবদ ঋণ নেওয়া হয়। সেই টাকায় বিভিন্ন কারখানা গঠনের কাজের অগ্রগতি দেখিয়ে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটও জমা দেওয়া হয়। অথচ সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের।

কারখানার কোনও নামগন্ধ নেই সেখানে। অভিযোগ জানানো হয় সিবিআইয়ের ‘ব্যাঙ্ক সিকিউরিটিজ ফ্রড ব্র্যাঞ্চে’। স্টেট ব্যাঙ্কের শেকসপিয়র সরণি শাখার তৎকালীন ডিজিএম পৃথ্বীজিৎ দাস এফআইআর দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই তদন্তপর্বে স্পষ্ট হয় বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়টি। এরপরই ময়দানে নামে ইডি।

আজকের খবর