ব্রেকিং
  • Home /
  • ভ্রমন /
  • Tourist Tiger Zeenat : Tigress: বাগে আসছে না বাঘিনী, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে জিনত

Tourist Tiger Zeenat : Tigress: বাগে আসছে না বাঘিনী, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে জিনত

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন। ছাগলের টোপ দিয়েও বাগে আনা যাচ্ছে না সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি জিনতকে। বাংলার দুই জেলার পাহাড়-জঙ্গল ঘুরে বর্তমানে বাঁকুড়াতে রয়েছে বাঘিনি। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে....

Tourist Tiger Zeenat : Tigress: বাগে আসছে না বাঘিনী, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে জিনত

  • Home /
  • ভ্রমন /
  • Tourist Tiger Zeenat : Tigress: বাগে আসছে না বাঘিনী, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া পেরিয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে জিনত

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন। ছাগলের টোপ দিয়েও বাগে আনা যাচ্ছে না সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।

ছাগলের টোপ দিয়েও বাগে আনা যাচ্ছে না সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি জিনতকে। বাংলার দুই জেলার পাহাড়-জঙ্গল ঘুরে বর্তমানে বাঁকুড়াতে রয়েছে বাঘিনি। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে কুমারী নদী পার করে কাঁসাইয়ের পার ধরে এগোচ্ছে জিনত। ইতিমধ্যেই সে পুরুলিয়ার মানবাজার-১ ব্লকের ধানড়া পেরিয়ে পৌঁছেছে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারে।

খবর পেয়েই বাঘিনি ধরতে তৎপর হয়েছে জেলা বন দফতর।

বন দফতর আশঙ্কা করছে জিনত কাঁসাইয়ের জলাধার পেরিয়ে দক্ষিণ বাঁকুড়ার বারো মেইল জঙ্গলে ঢুকে যেতে পারে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ডাঙরডি মোড়ে বন দফতরের তৈরি করা ফাঁদের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায় সে। বন দফতরের কর্তারা মনে করছেন, পুরুলিয়ার গোপালপুর মানবাজার এলাকায় ছিল বাঘিনি।

এবিষয়ে পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ ডিভিশনের বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) পূরবী মাহাতো বলেন, ‘পুরুলিয়ার গোপালপুর মানবাজার এলাকায় জিনতের অবস্থান মিলেছে। পাশেই রয়েছে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। বাঘিনিকে ‘ট্র্যাপ’-এ আনতে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে’। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন তিনি। আধিকারিক জানিয়েছেন, বন দফতর বাঘিনির গতিবিধির উপর নজর রাখছে।

ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে জিনত পালিয়ে আসে ঝাড়খণ্ডে। এরপর ঝাড়গ্রামের জঙ্গলপথ ধরে রাজ্যে প্রবেশ করে সে। গত রবিবার বাঘিনি বান্দোয়ানে ঢোকে। সেখানে ফাঁদ পেতেও বাগে আনা যায়নি তাকে। এরপর গত বৃহস্পতিবার জঙ্গলে ঢুকে অভিযান চালায় বন দফতরের আধিকারিকরা। তারপরেই ওই এলাকা ছাড়ে বাঘিনি। মনে করা হচ্ছে, বাঘিনি ওই জঙ্গলকে নিরাপদ মনে করেনি।

এরপর পাইসাগোরায় আলুক্ষেতে মেলে জিনতের পায়ের ছাপ। ড্রোন উডিয়ে বাঘিনির খোঁজার চেষ্টা করা হলে মানবাজার-২ রেঞ্জের ঝাটিপাহাড়ির জঙ্গলে খোঁজ মেলে একবার। ফাঁদ পাতা হয়-ও। কিন্তু সেই ফাঁদ টপকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বছর তিনেকের জিনত।

১৫ নভেম্বর, মহারাষ্ট্রের তাডোবা ও আন্ধেরি ব্যাঘ্রপ্রকল্প থেকে সিমলিপালে আনা হয় জিনাতকে। ২৮ নভেম্বর ঘরছাড়া হয়। ঝাড়খণ্ডে জামশেদপুর বনবিভাগ হয়ে চাকুলিয়ার জঙ্গলে আসে। বেলপাহাড়ির কাঁকরাঝোড় দিনদুয়েক ছিল বাঘিনী। তারপর ময়ূরঝর্ণা হয়ে রাইকা পাহাড়ে আসে। খাবার, জল, বাসস্থান অনুকূল থাকায় সেখানেই দিব্যি ছিল সে। তবে হাতি তাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন বনদপ্তরের কর্মীরা। হুলাপার্টি, মশাল, পটকায় বিরক্ত হয়ে লোকালয়ে চলে যায় জিনাত। মানবাজারের ডাংরডির জঙ্গলে ছিল সে। তবে শুক্রবার রাতে জালের নিচ দিয়ে পালায় জিনাত। বর্তমানে মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষা রানিবাঁধ ব্লকের বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের কাছে গোপালপুরে রয়েছে সে।

আজকের খবর