ব্রেকিং
  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata BGBS : “বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে টাটা, কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার

Mamata BGBS : “বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে টাটা, কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   “বাংলাকে ভুলবেন না। বাংলা আপনাদের ভুলবে না। বাংলা বরাবর আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। বাংলা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে। আমরা এমএসএমই-তে এক নম্বর। মহিলা ক্ষমতায়নে এক নম্বর। দক্ষতায় এক নম্বর। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আরও বেশি করে....

Mamata BGBS : “বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে টাটা, কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার

  • Home /
  • বাংলার রাজনীতি /
  • Mamata BGBS : “বাংলায় বিনিয়োগ করতে আসছে টাটা, কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না” বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।   “বাংলাকে ভুলবেন না। বাংলা আপনাদের ভুলবে না। বাংলা বরাবর আতিথেয়তার জন্য....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।

 

“বাংলাকে ভুলবেন না। বাংলা আপনাদের ভুলবে না। বাংলা বরাবর আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। বাংলা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে। আমরা এমএসএমই-তে এক নম্বর। মহিলা ক্ষমতায়নে এক নম্বর। দক্ষতায় এক নম্বর। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে আরও বেশি করে বিনিয়োগ চাইছি। কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না।” এভাবেই অষ্টম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশাল আকারে এই সম্মেলন আয়োজনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তাঁর বক্তব্য, কর্মসংস্থান ছাড়া যুব প্রজন্ম টিকতে পারবে না। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানালেন তিনি। ভবিষ্যতের জন্য বাংলাই যে বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা, সেকথা তুলে ধরলেন। ২ দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন এদিন শুরু হয়েছে। মুকেশ অম্বানী, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের মতো শিল্পপতিরা প্রথম দিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আর প্রথম দিন বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলা এখন কোথায় কোথায় এগিয়ে, তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে বারবার নিশানা করে বিরোধীরা। রাজ্যে কর্মসংস্থানের অবস্থা বেহাল বলে তাদের দাবি। বিরোধীদের দাবিকে খারিজ করেছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু, যুব প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের কতটা প্রয়োজন, সেটা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনিয়োগ টানতে বছর বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ উড়ে আসে। সেই নিয়ে এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ খোলেন মমতা। বলেন, “বছর বছর কেন সম্মেলন, জানতে চান অনেকে। আমি বলব, আমরা শুরু করেছিলাম। এখন সব রাজ্য করছে। এতে ভুল কী? যুবসমাজ, আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে আমাদের। এগিয়ে যেতে হবে। নইলে যুবসমাজ পেরে উঠবে না।” মমতা জানান, গত সাত সম্মেলন থেকে বাংলায় মোট ১৯ লক্ষ ৫১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে ১২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলি ধাপে ধাপে হচ্ছে। মমতার বক্তব্য, “১৩-১৪ টাকার বিনিয়োগ হয়নি। রাজনৈতিক কারণে কাউকে কৈফেয়ত দেওয়ার নেই আমার। শুধুমাত্র মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য আমি। দয়া করে সংখ্যাটা দেখুন। প্রমাণ হাতে নিয়ে বলছি। বাংলার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের মধ্যে বাংলার অর্থনীতি অন্যতম বৃহত্তম। আমাদের ডিজিপি ১৯ লক্ষ কোটি টাকার হয়ে যাবে। দেশের ডিডিপি-র চেয়ে আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির গতি বেশি।” মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজস্ব আয় বেড়েছে ৪ গুণ।, উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ বেড়েছে ৭.৮০ গুণ। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলা এক নম্বরে রয়েছে। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আওতায় ২৫ বছর বয়স থেকে সারাজীবন হাতে নগদ পাচ্ছেন মহিলারা। আর কোনও রাজ্যে এমন ব্যবস্থা নেই। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী প্রকল্প রয়েছে, রয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প।

 

বাংলাকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে বাংলা দেশের এক নম্বর শিল্প বিনিয়োগের জায়গা হবে। এমএসএমই থেকে মহিলা কর্মসংস্থা-ন সবেতে আমরা এক নম্বরে। বাংলায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। আমরা কেন বাণিজ্য সম্মেলন করেছিলাম? অনেকে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ তাঁরাই আমাদের দেখে এরকম বাণিজ্য সম্মেলন করছেন। আমরা যুবদের জন্য এটা করছি। আমরা কর্মসংস্থান গড়ছি। তাই এই সম্মেলন সাধারণ মানুষের। আমার সরকার সাধারণ মানুষের। বাংলায় পুনরায় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

বাংলায় জমি জট নেই বলে দাবি করে তাঁর সরকারকে শিল্প বান্ধব বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জমি এখানে সমস্যা নয়। জমি এখানে পাওয়া যায়। ফ্রি হোল্ড বেসিসে দেওয়া হয়। শিল্প পার্ক গড়া হয়েছে। ২০০ শিল্প পার্ক আছে। ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে আমরা এক নম্বর। একাধিক শিল্প ক্লাস্টার আছে। মহিলা উদ্যোগপতির সংখ্যা আমাদের রাজ্যে সবচেয়ে বেশি। বিদ্যুতের কোনও অসুবিধা নেই। ২৪ ঘণ্টা এখানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। আজ আবার সজ্জন জিনদাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ঘোষণা করলেন। সৌরভ একটা স্টিল প্ল্যান্টও করছে। এখানে দেরি হয় না। এখানে কেয়ার করা হয়।’

 

মমতা জানান, বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী। সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। সংসদে অনেকে আজকাল নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কথা বললেও, তাঁর দল এই কাজ করে দেখিয়েছে। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী মহিলা প্রার্থীদের হার ৩৯.৫ শতাংশ। মহিলাদের উন্নয়ন ছাড়া সমাজের উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়, তেমনই নারী-পুরুষ সকলের উন্নয়নের সঙ্গেই দেশের উন্নয়ন জড়িয়ে রয়েছে।

বাংলার দেখাদেখি অন্যান্য রাজ্যও বাণিজ্য সম্মেলন শুরু করেছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্য বোঝাতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে দেউচা পাচামি প্রকল্পে কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছেন, বাংলায় শিগগিরই ফের বড় বিনিয়োগ করবে টাটা গোষ্ঠী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। টাটা বড় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। আগামিকাল সম্মেলনে চন্দ্রশেখরনের আসার কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা থেকে সরাসরি ইউরোপের ফ্লাইটের জন্য চন্দ্রশেখরনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি দেখার কথা জানিয়েছেন টাটা সন্সের চেয়ারম্যান। টাটাও বাংলায় বিনিয়োগে আগ্রহী বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।

 

শিল্পের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি তৈরির ঘোষণাও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ এই কমিটি দ্রুত শিল্প স্থাপনের ব্যাপারে যাবতীয় তৎপরতা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বীরভূমের দেউচা পচামিতে কয়লা উত্তোলন নিয়েও নয়া ঘোষণা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই দেউচা পচামিতে কয়লা উত্তোলন করা যেতে পারে। সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। জমিদাতাদের পরিবারের সকলের চাকরি হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে তৈরি রয়েছে।”

দেউচা-পাঁচামির কয়লাখনির কথা উল্লেখ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেউচা পাঁচামিতে কাল থেকে উৎপাদন শুরু হবে। ১২৪০ মিলিয়ন টন কয়লা, ২৬০০ মিলিয়ন টন ব্যাসাল্ট তোলা যাবে। আমরা কালকে থেকে এর উৎপাদন শুরু করছি। জমি অধিগ্রহণ, স্থানীয় মানুষজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। সাহায্য়ের জন্য সেখানকার মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। এবার উৎপাদনের পালা। আপনাদের ছেলেমেয়েরাই চাকরি পাবে। এক লক্ষের বেশি মানুষ কাজ পাবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি তৈরি করছি। ৫৭ হাজার কোটি বিনিয়োগ হবে।”

আজকের খবর