সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারের অদূরে কলকাতায় ফের টার্গেট একাকী বৃদ্ধা। শয্যাশায়ী অবস্থায় এবার রীতিমতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে চলল লুঠপাঠ! নগদ ১৫ হাজার টাকা ও প্রায় লক্ষাধিক টাকা গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্য বড়তলা থানা এলাকায়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-এর ভাস্কর মিত্র আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ভয়াবহ লুঠের ঘটনাটি ঘটেছে। তখনও দিনের আলো ফোটেনি। সংবাদ সূত্রের খবর, প্রথমে অসুস্থ বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে মৃত্যু হুমকি দেয় দুষ্কৃতী। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে বৃদ্ধা মুখ খুলতে পারেনি। এরপর আলমারি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ এবং ১৫,০০০ মুল্যের সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। বৃদ্ধা ওই আবাসনে একাই থাকেন, তবে তাঁকে ৩৫ বছর দেখাশোনা করছেন আরেক বৃদ্ধা।
পরিচারিকা জানিয়েছেন, ভোরে কলিং বেল চিপতে তিনি ওপর দিয়ে দেখেন একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসা করতেই লোকটি জল খেতে চান। তিনি অজানা লোক বলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন। এরপর ওই ব্যাক্তি আবাসনের নয়া সিকিউরিটি গার্ড বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর পরিচারিকা বৃদ্ধা উপর থেকে রিমোট দিয়ে দরজা খুলে নিজে শুয়ে পড়েন। তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন, তাই তাঁর মাথা ঘুরছিল।
সেই কারণে কলিং বেল বাজানো ব্যক্তির উপরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই শুয়ে পড়েন। এরপরে কি হয়েছে তিনি কিছু জানেন না। ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন, ব্যক্তি উপরে বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ এবং সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। অসুস্থ বৃদ্ধার গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে রেখেছিলেন বলে তিনি চিৎকার করেননি।
একেবারে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে উপরে চারমহলা বাড়িতে একাই থাকেন বছর আটষট্টির মুধমিত্র মিত্র। বছর তিনেক আগে মেয়েকে এয়ারপোর্টে ছাড়তে এয়ারপোর্টে পড়ে গিয়েছিল তিনি। এরপর মাস তিনেক আগে ফের পড়ে যান বাড়িতে। ফিমার বোন ভেঙে যায়। সেই থেকে কার্যত শয্যাশায়ী ওই বৃদ্ধা। রান্না-সহ বাড়ির যাবতীয় কাজ করেন পরিচারিকা। কেয়াটেকারও আছে।