সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেউচা-পাচামি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা..।” এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং দেউচা পাঁচামি নিয়ে চক্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করল তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চক্রান্তে জড়িত থাকার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ প্রকাশ্যে এনেছেন কুনাল ঘোষ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীবারে শুরু হয়েছিল দেউচা পাঁচামির খননকার্য। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি হতে চলেছে এটি। এদিক খনন কাজ শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একযোগে নাকি ক্ষোভ উগরাতে শুরু করেছে বিভিন্ন গণসংগঠন। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে তারা। এমতাবস্থায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে দাবিপত্র তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করেছিল বিজেপি। দেউচা পাঁচামি খননের ফলে উচ্ছেদের প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে সরকারি হিসেবে উচ্ছেদ হবেন ২১ হাজার মানুষ। যার মধ্যে ৯ হাজার ৩৪ জন আদিবাসী ও ৩ হাজার ৬০১ জন তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। সঙ্গে উচ্ছেদ হবে ৪ হাজার ৩১৪টি বাসস্থান। তবে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক প্রচেষ্টায় যাবতীয় সমস্যা সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে বেউচাতে জমি দিতে নারাজ আন্দোলনকারীরা তাদের সাহায্য চেয়েছেন বলে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিং সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীও সবরকম আশ্বাস দেন তাদের পাশে থাকার। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ওই এলাকায় জনজাতি শূন্য করতে দেব না।
কিন্তু এবারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা তদন্তে নাকি শুভেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিং উত্তর ২৪ পরগনার লোকজনকে বীরভূমের খনি এলাকার আন্দোলনকারী সাজিয়ে রাজ্য সরকারকে কলঙ্কিত করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আজ কুনাল ঘোষ তাদের ছবি এবং বিস্তারিত ঠিকানা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এনে লিখেছেন,
“তৃণমূলের তদন্তে উঠে আসা অভিযোগ:
দেউচা পাচামি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বীরভূমের মূলনিবাসী মানুষ বলে যাদের পরিচয় দিয়েছিলেন , তাঁরা আসলে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। বীরেন হাঁসদা, মড়িচা গ্রাম পঞ্চায়েত, থানা – আমডাঙ্গা, ব্লক – আমডাঙ্গা, পেশা স্কুল শিক্ষক।

আনন্দ বেসরা, কাঁচরাপাড়া নিউ কলোনি, থানা – বিজপুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা। অর্জুন সিং এর পাশে মহিলাটি বীরেন এর স্ত্রী। বীরেন হরবাটি পশরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে যেটা আমডাঙাতে অবস্থিত।
বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেউচা-পাচামি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম তাঁর টিম নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তখন এই চক্রান্তটি সামনে আসে। সামিরুল দলকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।”