শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
১ বছর ৫ মাস ১৩ দিন। বদলা সম্পন্ন। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার বদলা নিল ভারত।
14 বছর পরে আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউটে অস্ট্রেলিয়াকে হারালো রোহিত শর্মার ভারত।
বিরাট কোহলি এদিন সর্বাধিক ৮৪ রান করলেন। দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন লোকেশ রাহুল। ইতিবাচক ব্যাটিং উপহার দিলেন শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পাণ্ডিয়াও।
২০১৩, ২০১৭ সালের পর টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলবে ভারত।

ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৫ রানের। প্রথম পাওয়ারপ্লে-তে ১০ ওভারে ভারত ২ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তোলে। দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লে-তে ১০.১ ওভার থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ভারত ১৪৫ রান তুলে নেয়, ২ উইকেটের বিনিময়ে।
ওপেনার শুভমান গিল ১১ বলে ৮ ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৯ বলে ২৮ রান করেন। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে শ্রেয়স আইয়ার ও বিরাট কোহলি যোগ করেন ৯১ রান। শ্রেয়স করেন ৬২ বলে ৪৫, তিনটি চারের সাহায্যে।
ভারত সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় কাঁটা মনে করেছিল ট্র্যাভিস হেডকে। ভারতকে দেখলেই যিনি জ্বলে ওঠেন। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হোক কিংবা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, ভারতের বিরুদ্ধে বরাবর সফল হেড। এদিন ইনিংস ওপেন করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেছিলেন হেড। শুরুতেই নিজের বলে তাঁর ফিরতে ক্যাচ ফেলে দেন মহম্মদ শামি। মনে হয়েছিল, এই ক্যাচ ফেলার খেসারত দিতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ৩৩ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হেড। তবে বড় রান করার আগে তাঁকে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী।
সেই বরুণ, যাঁর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেই থাকার কথা ছিল না। শেষ মুহূর্তে যশস্বী জয়সওয়ালকে বাদ দিয়ে তাঁকে দলে নেওয়া হয়। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচ তিনি একাদশে সুযোগ পাননি। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে সুযোগ পেয়েই পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা। মঙ্গলবারও বল করতে এসে প্রথম ওভারেই ফেরালেন হেডকে।
যদিও এরপরই ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই শুরু স্মিথের। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯৬ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন অজ়ি অধিনায়ক। একটা সময় তাঁর সেঞ্চুরি নিশ্চিত দেখাচ্ছিল। মহম্মদ শামির ফুলটস বলে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে যান স্মিথ।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসকে শেষের দিকে টানলেন ক্যারি। ৫৭ বলে ৬১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেললেন। শ্রেয়স আইয়ারের দুরন্ত থ্রোয়ে রান আউট হয়ে গেলেও, ক্যারিই নিশ্চিত করে দেন যে, আড়াইশোর গণ্ডি পেরিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট শামির। রবীন্দ্র জাডেজা ও বরুণের ২টি করে উইকেট। ম্যাচ জিততে গেলে কঠিন পিচে ২৬৫ রান করার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের সামনে।