প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
সকলেই জানি যে মসুর ডাল এবং সবজিতে রসুন স্বাদকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে, তবে আয়ুর্বেদেও এই সবজিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, কাঁচা রসুনের ব্যবহারও স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
এটিতে অ্যালিসিন নামে একটি এনজাইম রয়েছে, এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি২ ও সি। আপনি যদি ইউরিক অ্যাসিড বা খারাপ কোলেস্টেরলের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে এসব মারাত্মক সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও এটি বেশ উপকারী।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিক অ্যাসিড ও উচ্চ কোলেস্টেরলে রসুন খাওয়া কীভাবে উপকারী এবং কখন এবং কতটা খাওয়া উচিত?
খারাপ কোলেস্টেরলে উপকারী: কাঁচা রসুন এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে এইচডিএল অর্থাৎ শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, রসুন ধমনী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে তা দূর করে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত সালফার যৌগ রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণ করে: প্রতিদিন রসুন খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যৌথ জয়েন্টগুলির প্রদাহ হ্রাস করে এবং অসহনীয় জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এতে উপস্থিত অ্যালিসিন লবণের যৌগ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রসুনে রয়েছে পুষ্টি উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ভিটামিন সি এবং বি ৬, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ যা অনাক্রম্যতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এর নিয়মিত সেবন সর্দি-কাশি ও ফ্লু কমায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, যারা প্রতিদিন রসুন খান তাদের ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা ৬৩ শতাংশ কমে যায়।
শরীর গরম রাখে: রসুনের প্রভাব গরম হয়। এমন পরিস্থিতিতে শীতে এর ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটিতে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা এর স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য দায়ী। অ্যালিসিনের উষ্ণতার প্রভাব রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে তোলে।