শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্ন থেকে অনতিদূরে অবস্থিত হাওড়ার বেলগাছিয়ায় হাজার হাজার মানুষ আজ ঘরছাড়া। গোটা এলাকা ধসের কবলে। এলাকায় দূষিত মিথেন গ্যাসও ছড়িয়ে পড়েছে। আর ওদিকে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিলাসবহুল বিদেশ সফরে ব্যস্ত।” এভাবেই রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বেলগাছিয়ায় বিপর্যয়ে হাওড়া পুরসভায় ভোট না হওয়াকেও দায়ী করছেন স্থানীয়দের একাংশ। স্থায়ী কোনও কাউন্সিলর না থাকাতেই তাদের উন্নয়নের দিকে কেউ নজর দেয়নি বলে অভিযোগ। এদিন একই কথা বলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর কথায়, “রাজ্যের মানুষ এরকম দূর্বিষহ যন্ত্রণা আগেও সহ্য করেছে, কিন্তু মমতার জনবিরোধী সরকার হাত গুটিয়েই বসে থেকেছে। মানুষকে না বাঁচিয়ে তৃণমূলের নেতারা সিন্ডিকেটের পয়সায় তাদের পকেট ভরাতে ব্যস্ত ছিলেন। অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা।”
হাজার হাজার মানুষ সর্বস্ব খোয়ানোর পর তৃণমূল অভিনয় করছে বলেও আক্রমণ সুকান্তর। দরকারের সময় সরকারের কারও টিকিটিরও দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। মানুষের চেয়ে মমতার কাছে তাঁর বিলাসিতাই বড় বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। তিনি স্পষ্টতই লেখেন, “এটা শুধু ব্যর্থতা নয়, এটা ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স।” তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “পাইপলাইন কোনও মেরামত হয় না। তাই জন্যেই ফাটছে। মানুষ ভয়ে আছেন। কান্নাকাটি করছেন। ব্রিটিশ আমলের লাইন কোনও মেরামত হয় না। কেউ দেখে না। পর্যবেক্ষণ করে দেখার দরকার আছে।” পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, “হাওড়া কর্পোরেশনে চুরি ছাড়া আর কিছুই হয় না, তাই এই বিপদ। এখনও পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয়নি এটাই আমাদের ভাগ্য ভালো। বাংলার মানুষ কবে বিস্ফোরণের হাত থেকে মুক্তি পাবে? এই ঘটনা কেন ঘটল? যাদের উচ্ছেদ হতে হল তাঁদের কী সরকার পুনর্বাসন দেবে?”

অন্যদিকে, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে পানিহাটির ঘরের মেয়ে ‘অভয়ার’ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ করে সোদপুর ঘোলা বাসস্ট্যান্ড (পিএনবি ব্যাঙ্কের সন্নিকটে) প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আরজিকরের অভয়ার দেহ পোড়ানোর সঙ্গে যিনি যুক্ত ছিলেন তাকে সেই পৌরসভার চেয়ারম্যান বানানো হচ্ছে, এর থেকে ভালো কাজ কোনো মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন না।”