শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সরলেই আবার ফিরবে আতঙ্ক। মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে এসেছেন ১০ হাজার হিন্দু। সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে শুধু দেখলেই হবে না। আমরা চাই শুধু অ্যাকশন।” এভাবেই আজ শনিবার কলকাতার রাজপথে হিন্দু বাঙালি বাঁচাও স্লোগান তুলে পদযাত্রার পরে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুর্শিদাবাদকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার কলকাতার পথে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী। এলগিন রোডে নেতাজি ভবন থেকে মিছিল করে বিজেপি। মিছিল শেষেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী নেতা বলেন, “হিসেব কষে হিংসা হয়েছে মুর্শিদাবাদে। যেসব আসনে বিজেপির ভোট বেশি, সেসব জায়গায় হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করিয়েছেন।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের এই মিছিলের স্লোগান একটাই, ‘হিন্দু বাঁচাও, মমতা ভাগাও।’ চাপদানি থেকে মুর্শিদাবাদ সব ঘটনা পরিকল্পিত। মুর্শিদাবাদের হিংসা একটা জাতিকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা। এটা দেখা গিয়েছে আফগানিস্থানে। আমাকে এমনি ঢুকতে দেয় না ওইখানে। হাইকোর্ট যেতে হয়। ওদের বন্ধু সেলিম যায়। ওদের বি টিম শুভঙ্কর যায় বাধা নেই। বিজেপি হলেই সমস্যা। লড়াইটা আর সাংবিধানিক লড়াই নেই। লড়াইটা হয়েছে লুঠ কর, আগুন জ্বালাও হিন্দু শেষ কর। লুটেরাদের হাতে রাজ্য চলে গেছে। তাই আমরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাড়ি গিয়ে শেষ করছি। আত্মরক্ষার স্বার্থে লাইসেন্স প্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হোক বর্ডার এলাকার গ্রামবাসীদের হাতে।
তাহলেই বাঁচবে সকল হিন্দুরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাকা নেবে না। লাগবে না সরকারের টাকা। আমরা বানিয়ে দেব। নতুন করে গড়ে দেব ভেঙে ফেলা মন্দির হিন্দুদের বাড়ি। পুলিশকে দেখা গেল শাটারের নিচে। বিএসএফকে পা ধরে মাঠে নামাল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলে হিন্দুরা থাকতে পারবে না। দশ হাজার হিন্দু পলায়ন হয়েছে। যদি এনআইএ না হয় যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে আর কয়েকমাস, যদি সাংবিধানিক কমিটিগুলো ঘোরে, ছবি তোলে ইন্টারনেটে দিলাম রিপোর্ট দিলাম। প্রেস বাইট দিলাম। তাহলে হবে না। অ্যাকশন চাই। রিপোর্ট .. নিতে হবে । অ্যাকশন অ্যাকশন অ্যাকশন একটাই কথা। স্ট্রং অ্যাকশন।

তবে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এনামুলের সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করার পাশাপাশি হুঙ্কার দিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “বৈষ্ণবনগরের ক্যাম্পকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। বলছে বাড়ি ফিরে যাও, ফিরবে কোথায়, সব পুড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক, পুরপ্রধানের নেতৃত্ব সব পুড়িয়ে দিয়েছে। সিদ্দিকুল্লারা হিন্দুশূন্য করতে চায়। ৩৩ শতাংশ এক করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরগোবিন্দ-চন্দন দাসের সঙ্গে ওয়াকফের কী সম্পর্ক? সম্পর্ক একটাই ভোটব্যাঙ্ক, ছাব্বিশে ক্ষমতায় ফিরতে হবে। আগে বিক্রি হয়েছে চাকরি, এবার প্রশ্ন বিক্রির পথ খুলে গেছে।”