কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।
বাংলা জুড়ে যেখানে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেই সময় তাদের খাস তালুকে পরিবর্তন করে দেখিয়ে দিল তৃণমূল।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। আর এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অধীনেই রয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা। যেখানকার বিধায়ক আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কিন্তু সেখানেই এবারে পরিবর্তনের হাওয়া সমবায় নির্বাচনে। শিল্পশহরে উড়ল সবুজ আবির। হলদিয়া আরবান কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডে নির্বাচন ছিল রবিবার।
সমবায় নির্বাচনে সব আসনেই জয় পেল তৃণমূল। হলদিয়ায় নিঃসন্দেহে শাসকদলের বড় জয়। কারণ, গত বিধায়ক ও লোকসভা ভোটে এখানে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রমাণ করেছে। তারপরও সমবায় নির্বাচনে সব আসনেই জয় পেলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
হলদিয়া ও সুতাহাটা জ়োনে মোট ১৩টি আসনে ভোট হয় এদিন। এরমধ্য়ে হলদিয়া বিধানসভার মধ্যে ৮টি আসন। অন্যান্য জ়োনে ৫টি। হলদিয়ায় ৮-এ ৮ তৃণমূল। বাকিগুলিতেও তৃণমূল জেতায় ১৩টিই এদিন জেতে তারা।
যদিও বিজেপির দাবি, তারা সবক’টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেননি। বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সুভাষ খাটুয়ার দাবি, বিজেপি সমর্থিতরা ৮টি আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। শাসকদলের চোখরাঙানি ও ভয় দেখানোর কারণে আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি।
সমবায়ের প্রার্থী তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তুষার মণ্ডল জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে সমবায় পরিচালনা করছেন। বিরোধীরা প্রার্থী পাননি, তাই এসব মিথ্যা কথা বলছেন বলে অভিযোগ তুষার মণ্ডলের।